টিসিবির পণ্য বিক্রির তালিকায় দেশীয় পেঁয়াজ ও চিনি বিক্রির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাঝে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ ও দেশীয় চিনি কলের উৎপাদিত চিনি বিক্রির আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান এ দাবি জানান। 

ক্যাব নেতারা বলেন, টিসিবি বারবার আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও চিনি বিক্রি করে। এর কারণে আমদানিকৃত এ দুটো পণ্যের ওপর চাপ পড়ে। পেঁয়াজের আড়তদার ও কমিশন এজেন্টরা দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রিতে আগ্রহী নয়। কারণ দেশীয় পেঁয়াজ বাজারজাত করলে তারা ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়াতে পারবে না। এছাড়া দেশীয় উৎপাদকদের পেঁয়াজ বিক্রির রশিদ থাকে। ফলে কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং পেঁয়াজ চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি হলে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারজাত হবে, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে এবং দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে দেশীয় চিনিকলের বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। চিনি অবিক্রিত থাকার কারণে শ্রমিকরা তাদের বেতন পাচ্ছে না। আখ চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধে চিনিকলগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। আর চিনি আমদানির কারণে বিপুল বৈদশিক মুদ্রা এ খাতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও সাদা চিনিগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেশীয় আখের চিনি খাবার পরামর্শ দিলেও চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অব্যবস্থাপনায় ও বাজারজাতকরণে চরম উদাসীনতায় দেশব্যাপী এ চিনি বাজারজাত হচ্ছে না। ফলে দেশের সাধারণ জনগণ স্বাস্থ্যসম্মত চিনি গ্রহণে সক্ষম হচ্ছে না।

এ অবস্থায় টিসিবির খোলাবাজারে ও ডিলারদের মাধ্যমে চিনি বিক্রিতে দেশীয় আখের চিনি সরবরাহ করা হলে দেশীয় কলগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশের জনগণও স্বাস্থ্যসম্মত চিনি পাবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০