দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে পাটগাতী বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক বেহাল। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে পাটগাতী বাজার। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত যানবাহন ও হাজার মানুষ চলাচল করে। টুঙ্গিপাড়া পৌর এলাকার এ সড়কটির বেশিরভাগ স্থান খানাখন্দে ভরা। সড়কের এক পাশ দেবে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসীরা, প্রায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরজমিনে দেখা গেছে, সড়কের কার্পেট ওঠে ছোট-বড় খানাখন্দ হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে খানাখন্দের স্থানে জমে যায় পানি। পানি ভরা এ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী। এছাড়া একপাশের রাস্তা দেবে যাওয়ায় ভাঙা ও খানাখন্দের কারণে ভ্যান, ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রসহ বড় যানবাহন বিপরীত পাশ থেকে চলাচল করছে। এ কারণেও নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭-৯৮ সালে নির্মিত হয় পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড-বাশবাড়ীয়া সড়ক। প্রায় পাঁচ বছর আগে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেট ওঠে গর্ত হয়ে ভাঙা শুরু হয়। তিন বছর আগে সড়কের ভাঙা স্থানগুলো মেরামত করে এলজিইডি।
পাটগাতী বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ী ওহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে পান বিড়ি সিগারেটের দোকান দিয়েছি। এর সামনের রাস্তার বেশ খানিকটায় গর্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এখানে পানি জমে। এর ওপর দিয়ে গাড়ি গেলে পানি ছিটে পথচারীদের গায়ে ও দোকানের মধ্যে আসে। এছাড়া বাড়ছে দুর্ঘটনা। তাই আমাদের দাবি, রাস্তাটি ভালোভাবে সংস্কার করা হোক।
পাটগাতী গ্রামের অসীম শেখ ও বাবু শেখসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখছি রাস্তাটির বেহাল দশা। কয়েক বছর আগে দেখেছি রাস্তার গর্ত ও ভাঙা স্থানগুলো কোনোমতে মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন পর রাস্তার আবার একই দশা। তাই আমাদের দাবি শিগগির রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হোক।
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের ভ্যান চালক সিদ্দিক শেখ বলেন, এ রাস্তার বিভিন্ন জায়গা ভাঙা। অনেক গর্ত রয়েছে। ভাঙা জায়গা থেকে চলাচল করলে ভ্যানের চাকা, রিংয়ের ক্ষতি হয়। এছাড়া ভাঙা জায়গা থেকে ভ্যান চালিয়ে যাত্রীরাও গালমন্দ করে। তাই আমরা রাস্তার ভালো অংশ থেকে চলাচল করি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত ইজিবাইক, ভ্যান ও মাহেন্দ্রসহ বড় যানবাহন চলাচল করে তাই রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙে যায়। ভাঙা জায়গাগুলো বারবার সংস্কার করা হলেও বড় গাড়ি চলাচলের কারণে আবার ভেঙে যায়। সড়কটির সংস্কারে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা আছে, যা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করা হবে।