টেকনাফের ইউএনওর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরুর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সংবাদটি আদালতের নজরে আনলে আদালত বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সমাজের দর্পণ। তাঁরা কোনো ভুল করলে তার জন্য প্রেস কাউন্সিল আইন আছে। কিন্তু, সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ইউএনও যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা খুবই অবজেকশনেবল ও দুঃখজনক। তিনি একজন মাস্তানের চেয়েও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন।’

পরে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার ঘটনায় ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার খসরুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষেকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ২১ জুলাই ‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামে একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল—‘কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে।’

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে উপহারের ঘরগুলো এমন নিচু জায়গায় করা নিয়ে স্থানীয় লোকজন শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ঘর তৈরিতে মাটির নিচে ইট ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া নিম্নমানের ইট, বালু, রড, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য তাঁরা দায়ী করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে।

এ বিষয়ে টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, ‘বন্যা যখন আসছে, আশপাশের ঘরগুলো দেখেনি, শুধু দেখেছে মুজিববর্ষের ঘরগুলো। একটা চোর, আরেকটা সাংবাদিক, হলুদ সাংবাদিক ও ইয়াবার সঙ্গে জড়িত এমন সাংবাদিক আমাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। এগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০