প্রতিনিধি, কক্সবাজার : শীত মৌসুমকে সামনে রেখে পর্যটকদের আগমণ ঘটে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকে মুখরিত হয় নীল সমুদ্রের দ্বীপটি। প্রতি বছর অক্টোবর থেকে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এর বাইরে কক্সবাজার থেকে দুটি ও চট্টগ্রাম থেকে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করে৷
চলতি অক্টোবর মাসে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে ১২ টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সেই দেশের সেনাবাহিনীর সাথে চলমান যুদ্ধের কারণে নিরাপত্তার বিষয়ে জোরদার করে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এই বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন- মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিন যেতে হয়। এখনো সীমান্তে গুলাগুলির শব্দ শুনা যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে জাহাজ মালিকদের সংগঠন সী-ক্রোজ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (স্কোয়াব) সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নিষেধাজ্ঞা না থাকায় টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথের জন্য ৯টি জাহাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধুমাত্র এই ৯টি জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর বাইরেও কক্সবাজার থেকে ২টি এবং চট্টগ্রাম থেকে ১টি জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাবে। এ তিন জাহাজের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নাই।
অপরদিকে সী-ক্রোজ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, “সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে ২টি ও চট্টগ্রাম থেকে ১টি জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। কিন্তু প্রশাসন এখনো জাহাজ গুলো চলাচলের অনুমতি দেয়নি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে অনুমতি পাওয়া যাবে।”
এছাড়াও কক্সবাজারের শুরু হওয়া পর্যটন মেলায় সেন্টমার্টিনে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা তিনটি জাহাজের টিকিট বিক্রি করছে বিভিন্ন স্টলে। এসব স্টলে ইতিমধ্যে এক সপ্তাহের অগ্রীম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজ মালিকরা।
ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারে (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক আহমল হুদা জানান- টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ করা হয়। এই রুটে ভাড়ার পরিমাণও কম। এই মৌসুমে ৯টি জাহাজ চলাচল করতে না পারলে জাহাজ মালিকদের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও বড় ধরণের ক্ষতি হবে।