নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২২ মার্চ দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকায় ‘টেকভ্যালির মনিটর খালাস হচ্ছে কম্পিউটার ঘোষণায়’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের পক্ষ থেকে এ সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের পক্ষে ডিরেক্টর (কমার্শিয়াল) মোহাম্মদ আলী সরকার সই করা প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড গত ২০০৮ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে আইটি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের একটি প্রত্যক্ষ অংশীদারও বটে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের অংশ হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’-এর জন্য টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড এবং আরও একটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কলেজ বা সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান), শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ এবং প্রতিটি সংসদীয় আসনে ‘শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার’ স্থাপন করা হচ্ছে। এ কার্যাদেশ অনুযায়ী টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড কানাডার কোম্পানি স্মার্ট টেকনোলজিস ইউএলসি থেকে ৯১০টি কম্পিউটার (অল ইন ওয়ান কম্পিউটার সিপিইউ স্মার্ট ভিউ বোর্ড ৬৫ ইঞ্চি) ক্রয়ের জন্য কার্যাদেশ দেয়। সে অনুযায়ী কম্পিউটারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর ছাড় করার জন্য শুল্ক কর্তৃপক্ষ এইচএস কোড ৮৪৭১৮০০০ অনুযায়ী শতভাগ কায়িক পরীক্ষণের মাধ্যমে খালাসের অনুমতি দেয়। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে গত ২১ মার্চ একটি সভার আয়োজন করে। সেদিন সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত না থাকায় সভাপতি ২৩ মার্চ নির্ধারিত হয়। এ সভায় এই ব্যাপারে কাস্টম হাউসের অ্যাসেসমেন্ট কমিটি তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে। এই অবস্থায় কম্পিউটারকে শুধু মনিটর হিসেবে উল্লেখ করে টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের মতো একটি স্বনামধন্য কোম্পানির নামে কম শুল্ক পরিশোধ করে মালামাল খালাসের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। কার্যাদেশপ্রাপ্ত অন্য প্রতিষ্ঠান এইচএস কোড ৮৪৭১৮০০০ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে শুল্ক পরিশোধ করে একই ধরনের মালামাল একই প্রকল্পের জন্য খালাস করেছে বলে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: শুল্ক গোয়েন্দা ৯ মার্চ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনারকে একটি রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে; যা ২২ মার্চ দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য বা মতামত দেয়া হয়নি। শুল্ক গোয়েন্দার সেই রিপোর্ট ও প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা বিল অব এন্ট্রি দৈনিক শেয়ার বিজের কাছে রয়েছে।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার বিষয়টি মিথ্যা। দৈনিক শেয়ার বিজ কখনো কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা বা বক্তব্য নেয়া ছাড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে না। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার প্রমাণ দৈনিক শেয়ার বিজের হাতে রয়েছে। ২১ মার্চ ৫টা ২৬ মিনিটে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য জানতে আসিফ মাহমুদের ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন করা হয়। এক মিনিট ৩১ সেকেন্ড আসিফ মাহমুদের সঙ্গে কথা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না। তিনি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গে কথা বলতে ৫টা ৩১ মিনিটে আলীর নাম্বার এ প্রতিবেদককে এসএমএস করে দেন। পরে এ প্রতিবেদক ৫টা ৩৮ মিনিট, ৫টা ৩৯ মিনিট ও ৫টা ৪০ মিনিটে মোহাম্মদ আলী সরকারকে ফোন দেয়। ৫টা ৪০ মিনিটে মোহাম্মদ আলী সরকার ফোন রিসিভ করেন এবং ১১ মিনিট ৫ সেকেন্ড এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। সেই বক্তব্য প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে মিথ্যা বলার কোনো সুযোগ নেই।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে প্রতিবেদকের বক্তব্য হলোÑটেকভ্যালির আমদানি করা পণ্য নিয়ে শেয়ার বিজের কোনো উদ্দেশ্য নেই। শেয়ার বিজ কেবল শুল্ক গোয়েন্দার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সুতরাং কোনো পত্রিকা হাউসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়া কোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মানায় না।