শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো এবং জাপানের মন্ত্রীরা স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক হবে এমন এক টেকসই পর্যটন গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছেন। খবর: এনএইচকে।
জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে জানায়, গতকাল শনিবার রাজধানী টোকিওতে পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রীদের একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাপানের ভূমি ও পর্যটনমন্ত্রী সাইতো তেৎসুও অংশ নেন।
বৈঠকে মন্ত্রীরা, টেকসই পর্যটনের পথ-নকশা প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা নির্দিষ্ট অঞ্চলের অনন্য সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক আকর্ষণের বিকাশ ঘটাতে একমত হন। উচ্চ মানসম্মত অভিজ্ঞতার উন্নয়নের বিষয়েও তারা একমত হন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত গন্তব্য সফরের জন্য উৎসাহিত করার পাশাপাশি উদ্ভাবনী পর্যটনের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর এগিয়ে নেয়ার বিষয়েও সম্মত হন মন্ত্রীরা।
মন্ত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পদক্ষেপ পর্যটন খাতে উচ্চ উৎপাদনশীলতা ও মুনাফা অর্জনে সহায়ক হবে এবং সমাজে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে। এতে টেকসই পর্যটন নিশ্চিত হবে।
বিবৃতিতে পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই খাতের অবদানের গুরুত্বের বিষয়টিও জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া খাতটিতে পরিবেশবান্ধব যানবাহন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রবর্তনের বিষয়ও উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত জাপান কভিড-১৯-এর প্রভাব কাটিয়ে বিদেশি পর্যটকদের জন্য গত বছর সম্পূর্ণভাবে সীমান্ত খুলে দেয়। এর পর থেকে দেশটিতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের আগস্টে ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৫০ হাজারের ওপরে, যা মহামারির আগের পর্যায়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ। তবে এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির আতিথেয়তা শিল্প। একটি অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হলো, যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন ভ্রমণ গাইডের অভাব রয়েছে। এই ঘাটতি এতটাই তীব্র যে, এর কারণে কিছু কোম্পানি বাধ্য হচ্ছেন পর্যটকদের ফিরিয়ে দিতে।
ঐতিহ্যগতভাবে জাপানে পেশাদার বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কর্মরত ভ্রমণ গাইডদের একটি জাতীয় পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। আবেদনকারীদের অবশ্যই বিদেশি ভাষায় দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে এবং জাপানের ইতিহাস, ভূগোল ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে ব্যাপক জ্ঞান রাখতে হবে। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এমন বিষয়গুলোও ওপর আলোকপাত করা হয়।