বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, কনসাল্টিং ও বিজনেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রা। বাংলাদেশের আইটি খাতে প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের ডিজিটাল বিকাশে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান। মূলত পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকনোলজি সল্যুশনস ও সার্ভিস অফারিংস বিভিন্ন সেক্টরে পৌঁছে দিতে সহায়তা করছে টেক মাহিন্দ্রা।
টেক মাহিন্দ্রা উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক তথ্যপ্রযুক্তি অভিজ্ঞতা অফার করে। এন্টারপ্রাইজ, অ্যাসোসিয়েট ও দ্য সোসাইটি টু রাইজকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কানেক্টেড ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আয়ের পরিমাণ চার দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। বিশ্বের ৯০টি দেশে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার ৩৯০ কর্মী। ৫০০ ফরচুন কোম্পানিসহ ৯৩০টিরও বেশি গ্লোবাল কাস্টমারকে নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির স্টেকহোল্ডারদের ট্যানজিবল বিজনেস ভ্যালু ও অভিজ্ঞতাদানের লক্ষ্যে কনভারজেন্ট, ডিজিটাল, ডিজাইন এক্সপেরিয়েন্স, ইনোভেশন প্ল্যাটফর্মস ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদসহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিকে একত্রিত করে কাজ করে তারা। এর স্বীকৃতিও মিলেছে ২০১৮ সালের ফোর্বস গ্লোবাল ডিজিটাল হানডেড ও ফোর্বস ফ্যাব ফিফটি কোম্পানিজ ইন এশিয়ার তালিকায় সর্বোচ্চ র্যাংকধারী নন-ইউএস কোম্পানি এই টেক মাহিন্দ্রা।
মাহিন্দ্রা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এই টেক মাহিন্দ্রা। প্রসঙ্গত, এ গ্রুপের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে দুই লাখের বেশি কর্মী রয়েছে। আর এর কার্যক্রম চলছে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে। গ্রুপটির বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে রয়েছে ট্র্যাক্টর, ইউটিলিটি ভেহিকেলস, আফটার-মার্কেট,
তথ্য-প্রযুক্তি ও ভ্যাকেশন ওনারশিপ। এর মধ্যে টেক মাহিন্দ্রা তাদের উদ্ভাবনী-পরবর্তী প্রজন্মের টেকনোলোজি সল্যুশনস ও সার্ভিস অফারের সাহায্যে বাংলাদেশের উদীয়মান আইটি খাতের সম্ভাব্য ব্যবসায়িক সুবিধাগুলো চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করছে।
টেক মাহিন্দ্রা বর্তমানে বাংলাদেশের টেলিকম ও বিএফএসআই খাতে (ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা ও বিমা) গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের পেশাদার সেবা দিচ্ছে। আর্থিক খাতে বৃহৎ পরিসরে অপারেশন পরিচালনাও করবে তারা। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণ কৌশলের অংশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ও সরকারি ব্যবসায়ের ওপর মনোযোগ দিয়ে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন রাজস্ব প্রবাহ তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।
টেক মাহিন্দ্রার করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের সভাপতি সুজিত বকসি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে দ্রুত ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট সংযোগ, স্মার্ট মোবিলিটি ও ডিজিটাল মিডিয়ার বিকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থার সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করছে। টেক মাহিন্দ্রাতে আমরা মার্কেটের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনায় বিশ্বাসী। একই সঙ্গে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল এক্সপারটাইজ লিভারেজ করার ক্ষেত্রে আশাবাদী।
আগামী কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি বৈচিত্র্য ও মানবিক মূলধন নির্মাণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ‘বিকশিত বাংলাদেশ’-এর ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে টেক মাহিন্দ্রা। এ ধারণা দ্রুত কার্যকর করতে বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্থানীয় প্রতিভার সদ্ব্যবহার ও সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে তাদের কাজে লাগাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
সাত শতাংশের বেশি জিডিপি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও উন্নত সামাজিক সূচকের কারণে আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এশিয়ার অন্যতম উল্লেখযোগ্য সফল দেশের একটি হয়ে উঠছি। আশা করা যায়, আগামী পাঁচ বছরে জিডিপির হার ৯ শতাংশে উন্নীত হবে। ফলে গতিশীল ও ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির পাশাপাশি সম্ভাবনাময় আইটি খাতের উন্নয়নে কাজ করতে সক্ষম হবে টেক মাহিন্দ্রা।
টেকএমনেক্সট চার্টারের অংশ হিসেবে টেক মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের গ্রাহকদের দ্রুত ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলো পূরণ করতে ব্লকচেইন, ফাইভ-জি টেলিকম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, রোবোটিকস ও ইন্টারনেট অব থিংসগুলোর মতো অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে আশাবাদী।
টেক মাহিন্দ্রা ইতোমধ্যে তার সাবসিডিয়ারি মাহিন্দ্রা কমভীভার সঙ্গে বাংলাদেশে তার জোরালো উপস্থিতির জানান দিয়েছে। মাহিন্দ্রা কমভীভার স্প্যানিং মোবাইল ফাইন্যান্স, কনটেন্ট, ইনফোটেইনমেন্ট, মেসেজিং ও মোবাইল ফোন ডেটা সল্যুশনের একটি বিস্তৃত পোর্টফোলিও রয়েছে। টেক মাহিন্দ্রার লক্ষ্য হলো তার মূল প্রতিষ্ঠানের পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে এদেশে তাদের অপারেশন বৃদ্ধি করা।