টেন মিনিট স্কুল

আয়মান সাদিক প্রায় এক বছরের জমানো টিউশনির টাকায় ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। কিনেছেন ক্যামেরা, লাইটসহ এ কাজে সহায়ক বেশ কিছু প্রযুক্তিপণ্য। স্কুলটি নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মাসুদ আনসারী

জ্যামিতির গল্পটা ছোটবেলায় শোনা কুমিরের বাচ্চার গল্পের মতো। শিয়াল মামা কি-না কুমিরের এক বাচ্চাকে ২৬ বার দেখিয়ে ২৬টি বাচ্চা বানালো। ঠিক সামন্তরিক জ্যামিতিতে তেমনই, বাঁকা সামন্তরিককে সোজা করলে হয়ে যাবে আয়তক্ষেত্র, লম্বসকে নিয়ে তুমি একটু ভাবলে দেখবে এটাও এক ধরনের সামন্তরিক, বর্গক্ষেত্রের চারটি বাহুই যার সমান। বিপরীত বাহুগুলো সমান্তরাল। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, বর্গক্ষেত্র এক ধরনের সামন্তরিক। জ্যামিতিতে অনেকগুলো ক্ষেত্রফলের ফর্মুলা দেখানো হয়, পরিসীমার ফর্মুলা দেখানো হয় কিন্তু আসলে এতগুলো ফর্মুলা  নেই, আছে মাত্র একটি। ভূমির সঙ্গে উচ্চতা গুন করে পেয়ে যাবে ক্ষেত্রফল। বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ, ইউটিউবে এমনই ভিডিওতে জ্যামিতির প্রাথমিক হাতেখড়ি দিচ্ছে আয়মান সাদিক ও তার টেন মিনিট স্কুলের অন্যান্য সদস্য।

শুরুটা কেমন করে? ‘সময়টা ২০১৪ সাল। শিক্ষাভিত্তিক ওয়েবসাইট তৈরির পরিকল্পনা করছিলাম। এ কাজে সঙ্গী হয় শামির মোস্তাজিদ। নতুন আইডিয়া বের করে ভিডিও বানাতে শুরু করি আমরা। তবে প্রত্যাশার সঙ্গে তৈরি হওয়া ভিডিওর মান নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট ছিলাম না।’ এমনটি জানালেন আয়মান সাদিক।

২০১৫ সালে এসে ইচ্ছের বাস্তব রূপ দেওয়ার সুযোগ ঘটে। নিয়মিত শুক্রবার ভিডিও শুটিং চলে। ভিডিও বানাতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন শামস ও জিহান। চারজনের ছোট দলের একাগ্রতায় সপ্তাহে নতুন নতুন ভিডিও তৈরি হতে থাকে। সেগুলো আপলোড দেওয়া হতো টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইটে। তবে এ সময় ভিডিও এডিটিংয়ে ততটা দক্ষ হয়ে ওঠেননি কেউ। এ টিমে রামিম যোগ দিলে সে সমস্যা মিটে যায়। পরবর্তীতে সাদমান সাদিক, মেহেদি, রাতুল, শুভ, ইরফান, আকাশ, সালমানসহ আরও অনেকেই এ স্কুলের হাল ধরেন। অ্যানিমেশন তৈরিতে হাতের যশের খ্যাতি মেলে মেহেদির। তার সম্পর্কে বন্ধুদের মন্তব্য হলো প্রথাগত শিক্ষায় একঘন্টায় যা পড়ানো হয়, মেহেদির এক মিনিটের তৈরি অ্যানিমেশন তা সহজে বুঝিয়ে দেয়। নিজেদের মধ্যে যখন দারুন বোঝাপড়া চলছে, হিসেবে আগমন ঘটে মোবাইল ফোন কোম্পানি রবির। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি টেন মিনিট স্কুলের কারিগরদের।

ইতোমধ্যে টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে সরকারের আইসিটি ডিভিশন কাজ শুরু করেছে। সরকারের বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে টেন মিনিট স্কুল। মোবাইল ফোন কোম্পানি রবির সহযোগিতায় সরকারের আইসিটি ডিভিশন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যেখানে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থেকে যে কোনো সময় টেন মিনিট স্কুলের ক্লাসগুলো করতে পারবে। এছাড়া দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালটিমিডিয়া ক্লাসরুমে যে কোনো সময় যুক্ত হতে পারে টেন মিনিট স্কুল।

ওয়েবসাইট িি.ি১০সরহঁঃবংপযড়ড়ষ.পড়স, ইউটিউব এবং ফেসবুকে নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করে ক্লাস নিচ্ছে টেন মিনিট স্কুল। বাংলাদেশের যে কেউ ফেসবুকের নিয়মিত লাইভ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

টেন মিনিট স্কুলে বাংলাদেশের সবাই পড়াশোনা করতে পারবেন, শিক্ষার্থীদের কোনো কোচিং ক্লাসের প্রয়োজন হবে না। শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান হবে, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে টেন মিনিট স্কুল। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিন-রাত পরিশ্রম করছে টেন মিনিট স্কুল টিম। মাত্র এক বছরে স্বপ্নকে সত্যি করতে পেরেছে এ অনলাইন স্কুল।

টেন মিনিট স্কুলের মূল উদ্দেশ্য সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে কার্যকরী ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। ইন্টারনেটের প্রচার ও প্রসারের ধারাকে কাজে লাগিয়ে স্কুলটি বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাবে, স্কুলের সফলতা নিয়ে এমন আশা করেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক।

স্কুলটি নিয়ে আশাবাদী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও।

 

আত্মসমীক্ষা পরীক্ষা করে দেখুন আপনি ফেসবুক আসক্ত কিনা

১. ফেসবুকে লগইন করে স্বস্তিবোধ করেন?

ক. হ্যাঁ (৫)

খ. না (০)

২. পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবের চেয়ে ফেসবুক বেশি প্রিয়?

ক. না (০)

খ. হ্যাঁ (৫)

৩. ফেসবুকের কারণে ইনসমনিয়ায় ভুগছেন?

ক. না (০)

খ. হ্যাঁ (৫)

৪. ফেসবুকিং করে বকাঝকা খেয়েছেন?

ক. কখনও না (০)

খ. মাঝে মাঝে (২)

গ. প্রায়ই (৪)

ঘ. নিয়মিত (৫)

৫. প্রায়ই স্ট্যাটাস আপডেট করেন?

ক. বছরে দু’একবার (০)

খ. মাসে এক-দুবার (০)

গ. সপ্তাহে দুবার (২)

ঘ. যখন মন চায় (৫)

৬. কজন ফেসবুক-বন্ধু আছেন?

ক. ১০০-১৯৯ (০)

খ. ২০০-৪৯৯ (২)

গ. ৫০০-১০০০ (৩)

ঘ. হাজারের বেশি (৫)

৭. রূপক নাম ব্যবহার করেন?

ক. না, এটা কি (০)

খ. হ্যাঁ, করেছি একবার (২)

গ. ৬০ দিন পরপর পরিবর্তন করি (৫)

৮. মোবাইলে কতগুলো ফেসবুক অ্যাপস আছে?

ক. ১-৩টি (০)

খ. ৪-৬টি (২)

গ. ৭-১০টি (৩)

ঘ. ১০টির বেশি (৫)

৯. পরেরবার ফেসবুকে বসে কী করবেন, তার পরিকল্পনা রয়েছে?

ক. হ্যাঁ (৫)

খ. না (০)

১০. কুইজ শেষে ফেসবুকে স্কোর পোস্ট করবেন?

ক. কেন নয় (৫)

খ. না (০)

আপনার স্কোর: আপনার নম্বর ৪১ থেকে ৫০ নম্বরের মধ্যে থাকলে আপনি মজে আছেন ফেসবুকে। আপনার চিন্তা-ভাবনা, কাজকর্মজুড়ে কেবল ফেসবুক। ৩১ থেকে ৪০-এর মধ্যে হলে আপনিও ফেসবুক আসক্তির পথে। ৩০-এর কম হলে ফেসবুকে আপনার আসক্তি কম।

 

তথ্যসূত্র: টাইম ম্যাগাজিন ও দ্য ওটমিল ডটকম

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০