Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:51 pm

টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম গ্র্যান্ড ফিনালে অ্যাগ্রিম্যাচ বিজয়ী দলে সামীন আলম

এশিয়া মহাদেশে চাল সরবরাহের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য ২০১৮-১৯ টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে বিজয়ী হয়েছে অ্যাগ্রিম্যাচ। এ মোবাইল ফোন অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে ভৌগোলিক অবস্থান ব্যবহার করে কৃষক ও মধ্যস্থতাকারীরা যোগাযোগ করতে পারবেন। বিজয়ী দল অ্যাগ্রিম্যাচ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার সিডফান্ড অর্জন করেছে।
গত ২৮ মে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ডিট্যাকের প্রধান কার্যালয়ে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ২০১৮-১৯ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে। এখানে আট দেশের ১৬ তরুণ টেলিনর গ্রুপ ও ডিট্যাকের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে তাদের ধারণা উপস্থাপন করেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিট্যাকের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্রা রাইখ, টেলিনর গ্রুপের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আনা কারিন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিসেফ ও নোবেল পিস সেন্টারের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের ডিসেম্বরে নোবেল পিস প্রাইজ সপ্তাহে এ বছরের টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম শুরু হয়। এতে ১৬ প্রতিনিধি চারটি দলে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা তাদের ধারণার উন্নয়ন শুরু করে পর্যায়ক্রমে সেবার প্রোটোটাইপ তৈরি ও ব্যবহারকারীদের নিয়ে গবেষণা করেন, যা পরিশেষে তাদের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। পাঁচ হাজার অবেদনকারীর মধ্যে ২০ থেকে ২৮ বছর বয়সী ১৬ বিজয়ী তরুণ ২০১৮-১৯ কার্যক্রমে তাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান।
অ্যাগ্রিম্যাচ দলে ছিলেন বাংলাদেশের সামীন আলম, মালয়েশিয়ার র‌্যাচেল লো, নরওয়ের এমিলি উনায়েস ও ডেনমার্কের ইনগ্রিদ রাসমুসেন। এ দলের জন্য প্রশিক্ষক ছিলেন টেলিনর রিসার্চের ভিপি আইয়েভা মার্টিনকেনাইট।
খাদ্য উৎপাদনে টেকসই সমাধান ও সুযোগ বৃদ্ধিতে ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসাই ছিল এ দলের চ্যালেঞ্জ, যা অসাম্য দূরীকরণে বিশেষ অবদান রাখবে। এ মোবাইল ফোন অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক ও মধ্যস্ততাকারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে ও পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। কাজের উন্নয়নে ছয় মাসের নিরলস প্রচেষ্টা ও চারটি দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দলটি টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের এ বছর বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছে। অ্যাগ্রিম্যাচের মোবাইল ফোন সেবা কৃষিপণ্য সাপ্লাই চেইনে ভারসাম্য আনাসহ ঋণ ও দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে কৃষককে মুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রাখবে।
অ্যাগ্রিম্যাচ মিয়ানমারে তাদের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। কারণ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এ বছরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির জনসংখ্যার ৭০ ভাগ মূল আয় কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
টেলিনর গ্রুপের ইভিপি ও চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আনা কোয়াম বলেন, টেলিনরের বৈশ্বিক বিস্তৃতি, মান ও দক্ষতা ব্যবহার করে অসাম্য দূরীকরণে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। অ্যাগ্রিম্যাচের সম্ভাবনা নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমাদের প্রত্যাশা তারা দ্রুত এম-অ্যাগ্রি সল্যুশন আনবে।
বিচারকদের সামনে উপস্থাপিত অন্য তিনটি ধারণা হলো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা দূরীকরণে ডিজিটাল সমাধান, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগ বাড়াতে ডিজিটাল পোর্টাল ও তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আগের প্রজন্মের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম।
মেধাবী তরুণরা এক সঙ্গে কাজ করে বৈষম্য দূর করবে এ ধারণার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে তোলা হয়েছে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম। নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় সমাজের ক্ষমতায়নে ডিজিটাল সমাধান উন্নয়নে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে বিশ্বের নানা দেশ থেকে মেধাবী তরুণরা অংশ নেয়।