টেলিনর ও নোবেল পিস সেন্টারের নির্বাচিত ১৬

নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৮-১৯-এর জন্য নির্বাচিত ১৬ প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেছে টেলিনর গ্রুপ। টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের এ বছরের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধানে কাজ করবে। যেসব উদ্যমী তরুণ পৃথিবীতে পরিবর্তন আনতে চায়, তাদের জন্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম। এর পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মটি, গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রতিকূলতায় টেকসই ডিজিটাল সমাধানের উন্নয়নে বিভিন্ন রিসোর্স ও দক্ষতার সঙ্গে এ তরুণদের যুক্ত করবে।
মানবস্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয় যেমন স্বাস্থ্যসেবা এবং এ বিষয়ে তথ্য লাভের সুযোগসহ ক্ষুধা ও তৃষ্ণা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার মতো বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়ন এজেন্ডা এবং সংলাপের ক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে ছিল। ২০১৮ সালের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যেও অসংক্রামক রোগ ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। উন্নয়ন, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও মানুষের সমতার ক্ষেত্রে বিষয় হিসেবে স্বাস্থ্যের সদা উপস্থিতি ও এর সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের প্রত্যক্ষ সম্পর্কের কারণে স্বাস্থ্য বিষয়টিকে এ বছর টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৮-১৯-এ নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে যেসব দেশে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে সেখানে এ ১৬ প্রতিনিধিকে তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, নরওয়ে, পাকিস্তান, সুইডেন ও থাইল্যান্ডের পাঁচ হাজারের বেশি তরুণ মেধাবীদের মধ্য থেকে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সব দিক থেকে স্বাস্থ্য খাতের বৈষম্য দূরীকরণের সমাধান উন্নয়নে কাজ করবেন।
টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সিগভে ব্রেক্কে বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্নের ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা প্রান্তিক ও নিম্ন-উপার্জনকারী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতেই হোক, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। সম্ভাবনাময় ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূরীকরণ ও স্বাস্থ্যসেবায় সবার সুযোগ নিশ্চিত করা উচিত। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তি এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এবারের কর্মসূচিতে প্রতিনিধিদের চারটি দলে ভাগ করা হবে। সব দলকেই আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের শুরুতে আলাদা আলাদা স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জ দেওয়া হবে।
ডিসেম্বরে নরওয়ের রাজধানীতে অসলো পর্ব ও ২০১৯ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য ব্যাংককে ফোরাম ফিনালের মধ্যবর্তী সময়ে উন্নতির ভিত্তিতে পাশাপাশি ফোরাম ফিনালে দলগুলোর চূড়ান্ত ধারণা উপস্থাপন পর্বের ভিত্তিতে তাদের ‘কনসেপ্ট প্রোপোজাল’ অনুযায়ী চারটি দলকে স্কোরিং করা হবে। বিজয়ী দলকে পরবর্তীকালে তাদের ধারণা বাস্তবায়নের জন্য এক লাখ নরওয়েজিয়ান মুদ্রা দেওয়া হবে। টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ও এ কর্মসূচির অংশীদারদের স্পন্সরে নোবেল পিস সেন্টারে এ চারটি দলের চ্যালেঞ্জ, তাদের যাত্রা ও তাদের চূড়ান্ত ধারণার ডিজিটাল প্রদর্শনী হবে।
নোবেল পিস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লিভ তোরেস বলেন, প্রতিবছর টেলিনরের সঙ্গে এ উদ্যোগে সহযোগী হতে পেরে নোবেল পিস সেন্টার আনন্দিত। কেননা আমাদের উভয়েরই লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণ প্রাণকে আন্দোলিত করার মাধ্যমেই আমাদের সেই ভবিষ্যতের পথ তৈরি হবে।

টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম
বৈষম্য দূরীকরণে সম্ভাবনাময় তরুণদের সম্পৃক্ত করার ধারণার ওপরে তৈরি টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম। স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও এশিয়ার আটটি দেশে টেলিনর গ্রুপের সম্ভাবনাময় তরুণ নেতৃত্বদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত বৈশ্বিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্ত করা হয়। নোবেল পিস সেন্টারের (এনপিসি) সহযোগিতায় এ ফোরাম চালিত হয়।

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ২০১৮-১৯ সালের
নির্বাচিত প্রতিনিধিরা
ক্রিস্টিনা শি নর্ডভল্ড (২২) নরওয়ে
র‌্যাচেল লোহ (২১) মালয়েশিয়া
লুকাস ম্যাকন্যাব (২৫) সুইডেন
ন্যাং ইন ইন উইন নিউই (২৫) মিয়ানমার
ইনগ্রিদ হগ রাসমুসেন (২৪) ডেনমার্ক
মাইয়েদা জানজুয়া (২২) পাকিস্তান
ডায়াকো খাবাত আহমাদ (২৪) ডেনমার্ক
থিহা ঝ (২৬) মিয়ানমার
থানাপা উকারানুন (২৭) থাইল্যান্ড
চের্নচে তাচো (২২) থাইল্যান্ড
সায়মা মেহেদী খান (২১) বাংলাদেশ
আসমা লাডাক (২০) পাকিস্তান
গ্যাব্রিয়েল স্টুপ (২৬) সুইডেন
সামীন আলম (২২) বাংলাদেশ
ফেলিসিয়া ইয়ুন (২৮) মালয়েশিয়া
এমিলিয়া উদেস (২৩) নরওয়ে

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০