কভার লেটারে নির্ভুল ও সম্পূর্ণ যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করুন। এতে সাক্ষাৎকার গ্রহীতারা সহজে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন যদি সম্ভব হয়, চর্চা করুন। কোনো বন্ধুকে দিয়ে মক টেস্ট নিতে পারেন
সাক্ষাৎকার গ্রহীতার নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপনার সময়ের হেরফের হলে বিকল্প সময়ের কথা আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া ভালো
টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে সাক্ষাৎকারের শুরুতে স্বল্প কিংবা দীর্ঘ সম্ভাষণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত
বাড়ির অন্য সদস্যদের এই সাক্ষাৎকারের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলুন। তারা যেন এ সময়ে আপনাকে একাকী থাকার সুযোগ দেন। আশপাশ যেন নীরব থাকে
স্পষ্টভাবে যেন একে অপরের কথা শোনা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে
দাঁড়িয়ে কথা বলুন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে বসে কথা
বলার চেয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলায় পেশাদারিত্বের ছাপ রয়েছে
পোশাক-আশাকেও পরিপাটি হতে হবে। শুনতে হাস্যকর মনে হতে পারে, তবে এর মধ্য দিয়েও পেশাদারিত্ব ফুটে উঠবে
এমন স্থান বেছে নিন যেখানে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন। স্থানটিতে যেন নোট পড়তে কিংবা রাখতে পারেন, সেদিকটি বিবেচনায় রাখুন
কিছু নোটকার্ড সামনে রাখুন। এতে মূল পয়েন্টগুলো উল্লেখ করুন। সামনে রাখতে পারেন সিভি কিংবা রিজিউমও
এরপর যে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তার ওপর পূর্ণ মনোনিবেশ করুন
শুনুন, একটু ভাবুন, শেষে উত্তর দিন। কোনো প্রশ্নের দেওয়া হয়ে গেলে একটু নীরব থাকা শ্রেয়। তবে কথাবার্তা চলাকালে খুব বেশিক্ষণ নীরব রইবেন না
হড়বড় করে কথা বলবেন না
দীর্ঘশ্বাস, নাকঝাড়া, গলাখাকারি প্রভৃতি
বাদ দিতে হবে। একান্ত সমস্যা হলে
‘এক্সকিউজ মি’ বলুন
গাম রাখবেন না মুখের ভেতর, কোনো খাবার এমনকি পানিও পান করা যাবে সাক্ষাৎকারের সময়ে
মনে করুন, সরাসরি বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন
দৃঢ়তার সঙ্গে কথোপকথন শেষ করুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে বিনীতভাবে তা করতে পারেন প্রশ্নকর্তাকে।
রতন কুমার দাস
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
