টেলিমেডিসিন সেবার নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিত চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চর্ম ও যৌন সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত প্রকাশ্যে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে সংকোচ বোধ করেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নিত একটি চক্র। ওই চক্রের দুই সদস্য মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন প্রান্ত (২৭) ও মৌসুমী খাতুনকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণায় তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া চক্রটি মোবাইল ফোন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ছদ্মবেশে কখনও ডাক্তারের সহযোগী, কখনও নিজেই ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কণ্ঠ পরিবর্তন করে বিভিন্ন কৌশলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করত। অনলাইনে প্রেসক্রিপশন দেয়া এবং ওষুধ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘চক্রটি গত দুই বছর ধরে এ ধরনের প্রচারণামূলক কাজকর্ম চালিয়ে আসছিল। জনপ্রিয় ডাক্তারদের নাম-পদবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে যৌন ও চর্মসহ একাধিক রোগের বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করত। করোনায় গৃহবন্দি অসুস্থ মানুষের সেবার নামে ভুয়া প্রেসক্রিপশন দিয়ে কৌশলে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।’

হাফিজ আক্তার বলেন, ‘এছাড়া চক্রটি নারীদের ছবি সংগ্রহ করে এডিটিংয়ের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি তৈরি করে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০