নিজস্ব প্রতিবেদক:পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ (২৫ জুন) সেতু ও তদসংলগ্ন এলাকায় মানসম্মত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে অপারেটরগুলোর গৃহীত পদক্ষেপ ও নেটওয়ার্কের মান যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
এ সময় তিনি মাওয়া প্রান্তে সার্ভিস এরিয়া-১ এর কাছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থাপিত একটি স্থায়ী সাইট এবং মাওয়া প্রান্তে গ্রামীণফোন ও টেলিটক স্থাপিত অস্থায়ী সাইট তথা সেল অন হুইল পরিদর্শন করেন।
পরে সেতুর ওপরে এবং জাজিরা প্রান্তের নেটওয়ার্কের মান যাচাই করে পরিদর্শক দল। এ সময় অপারেটরের কর্মকর্তারা বিটিআরসি চেয়ারম্যানের কাছে তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে জানান।
মাওয়া ও জাজিরা উভয়প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগতদের মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে বিদ্যমান সাইট ও অস্থায়ী সাইটে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি, সর্বোচ্চ পরিমাণে তরঙ্গ, ২টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টেনা, ৬টি ফোর্থ সেল প্রভৃতি সংযোজন এবং টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি প্রযুক্তির সক্ষমতা ও ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু ও তদসংলগ্ন এলাকার নেটওয়ার্কের পাশাপাশি বাবুবাজার-ভাঙ্গা হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকার মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের সাইটের ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বাবুবাজার-ভাঙ্গা হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় গ্রামীণফোনের ৫০টি সাইটের ট্রান্সমিশন ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া টেলিটক এনটিটিএন অপারেটরের কাছ থেকে ট্রান্সমিশনের উদ্দেশ্যে আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ গ্রহণ করেছে। পদ্মা সেতু ও সংলগ্ন এলাকায় নেটওয়ার্কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সব মোবাইল অপারেটর কর্তৃক বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিনা মূল্যে যেকোনো স্থান থেকে সরাসরি উপভোগ করতে পারবেন।