ক্রীড়া ডেস্ক : লম্বা সময় ধরে পারফর্ম করতে চান মুশফিকুর রহিম। এ ব্যাপারটি ভেবেই ভারত সিরিজ থেকে আর টেস্টে উইকেটকিপিং করতে চান না তিনি। এ নিয়ে এরই মধ্যে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।
সব সময় মুশফিক নিজেকে একজন উইকেটরক্ষকই ভাবেন। তারপরও এখন আর টেস্টে কিপিং করতে চাইছেন না তিনি, ‘টেস্টে আর উইকেটকিপিং করতে একেবারেই আগ্রহী নই। সামনে অনেক ম্যাচ রয়েছে। আর আমি তিন ফরম্যাটেই খেলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলি। এসব কিছু ভেবেই মনে হচ্ছে বড্ড বেশি বোঝা চাপছে। আমি দীর্ঘদিন খেলতে চাই। আর সে কারণেই এ ব্যাপারে ভাবতে হচ্ছে।’
গত ৫ বছরে মুশফিক বড় কোনো চোটে পড়েননি। তাই প্রায় একটানাই খেলার মধ্যে রয়েছেন। যে কারণে ওয়ার্ক লোডটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে তার। এটা কমাতেই এখন থেকে আর টেস্টে উইকেটের পেছনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, ‘গত ৫ বছরে চোট না পেলেও আমি কিন্তু তেমন বিশ্রামও পাইনি। ভবিষ্যতে যদিও এমন হতেই পারে যে, দুটো সিরিজে বিশ্রাম নিতে হলো। কোনো সিরিজ মিস করার চেয়ে আমি বরং ওয়ার্ক লোড কমিয়ে দিতে চাইব। আর তা সম্ভব হবে টেস্টে কিপিং না করলেই।’
বারবারই মুশফিকের উইকেটকিপিং নিয়ে ওঠে সমালোচনা। এবার কি এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মুশি? উত্তরটা এ তারকা ক্রিকেটার দিয়েছেন অবশ্য সোজা ব্যাটেই, ‘সমালোচনা আমার কাছে নতুন নয়। আর গত এক বছর ধরেই এটি ঘটছেÑএমনও নয়। প্রত্যেকেই তো আর সাকিব নয় যে, ব্যাট ও বলে দুই বিভাগেই ১০০ ভাগ দেবে। হয়তো আমার ব্যাটিং ও কিপিং দুটো সমপর্যায়ের নয়। আমার দিক থেকেও ঘাটতি থাকতে পারে। যদি তেমন হয়, তবে সব ফরম্যাট থেকেই কিপিং ছেড়ে দেব।’
কিপিং করলেও যে ভালো খেলতে পারবেন না এমনটা কিন্তু মনে করেন না মুশফিক, ‘এমন মোটেই নয় যে, উইকেটকিপিং করেও ভালো খেলতে পারব না। দুটো ডাবল সেঞ্চুরি কিন্তু কিপিং করেই এসেছে। টেস্টে সব সেঞ্চুরিই সেভাবে এসেছে। কিপার হিসেবে আমার ব্যাটিং রেকর্ড মনে হয় ভালোই। আর কিপার থাকলে পেছন থেকে সবকিছু নজরে আসে এবং সেটা ব্যাটিংয়ে সাহায্য করে বলে অনুভব করি।’