ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার শেষ দিকে বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়। সেই সঙ্গে বাড়ছে ময়লা-আবর্জনাও। চোখে পড়ছে অব্যবস্থাপনা। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে।
মেলায় রয়েছে ২০০ ডাস্টবিন। তবে প্রতিদিন মেলায় আসা লক্ষাধিক মানুষের জন্য এ ২০০ ডাস্টবিন খুবই অপ্রতুল বলে মনে করছেন দর্শনার্থীরা।
অবশ্য মানুষের অসচেতনতাকেও দায়ী করেছেন অনেকে। অনেকেই খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্যাকেট প্রভৃতি যত্রতত্র ফেলছেন। ডাস্টবিন ব্যবহার করছেন না। ফলে বেশ কিছু স্থানে খালি পড়ে রয়েছে অনেক ডাস্টবিন।
তবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মীরা মেলা অঙ্গনের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাণিজ্যমেলা মাঠের ইজারাদার মীর শহিদুল আলম জানান, ‘আগের বছরগুলোয় দিনে একবার সাফাই কাজ করা হতো। এবার সার্বক্ষণিক সাফাইয়ের কাজ করছেন শ্রমিকরা।’
এদিকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ছাড়াও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেকে ভাঙ্গারি কুড়াচ্ছেন। শাহ আলম নামে আগারগাঁওয়ের এক টোকাই জানান, ‘প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন কুড়াতে মেলায় ঢুকেছি। এজন্য টিকিট কাটতে হয়নি, তবে বকা খেতে হয়েছে। এক বস্তা ভাঙ্গারি জোগাড় করেছি। এগুলো বিক্রি করে ১২০ টাকা আয় করতে পারবো।’ টোকাইদের অনেকে এভাবে সুযোগ পেলে ঢুকে পড়ে মেলায়। কুড়িয়ে নিয়ে যায় কাগজের টুকরা, বোতলসহ নানা আবর্জনা।