ট্যাংকার-কার্গো সংঘর্ষে তেল ভাসছে কীর্তনখোলায়

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বরিশালের চরকাউয়া সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল (ফ্লাইঅ্যাশ) বোঝাই একটি কার্গো জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই নৌযানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় তেলবাহী জাহাজ থেকে বেশকিছু পরিমাণ ডিজেল বের হয়ে নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অবশ্য এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: বিডিনিউজ।

চট্টগ্রাম থেকে বরিশালগামী তেলবাহী ট্যাংকার এমভি ফজরের মাস্টার জামশেদুর রহমান জানান, সাড়ে ৯ লাখ লিটার ডিজেল ও তিন লাখ লিটার পেট্রল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বরিশালের যমুনা ডিপোতে যাচ্ছিলাম। আর ভারত থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে আসা একটি ফ্লাইঅ্যাশবাহী কার্গোর সঙ্গে কীর্তনখোলা নদীতে এ সংঘর্ষ ঘটে।

তেলবাহী ট্যাংকারটির বাম পাশের অংশ ফেটে কিছু ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী পরিমাণ ডিজেল ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা বলা সম্ভব নয় বলে জানান জামশেদুর রহমান।

এদিকে ফ্লাইঅ্যাশবাহী এমভি মা-বাবার দোয়া-২ কার্গোটির সুকানি এরশাদ আলী বলেন, তারা ভারত থেকে মোংলা হয়ে ঢাকার উদ্দেশে মেঘনা গ্রুপের এ কার্গোটি এক হাজার ৬৪ মেট্রিক টন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে কীর্তনখোলা নদী অতিক্রম করছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে তেলবাহী ট্যাংকারটি তাদের কার্গোটিকে ধাক্কা দেয়। তবে এর জন্য উভয় কর্তৃপক্ষই দায়ী বলে মনে করেন তিনি। এ দুর্ঘটনায় তার কার্গোর প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা হানিফ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তেমন কোনো উদ্ধার কাজ করতে হয়নি। তবে নদীর অনেক জায়গায় তেল ভাসতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, দুটি নৌযানই নিরাপদে রয়েছে। এ ছাড়া অন্য নৌযান চলাচলে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার ফলে বরিশাল নদীবন্দর এলাকা থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওই এলাকার দেড় শতাধিক লোককে তেল সংগ্রহ করতে ব্যস্ত দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও যাত্রী সুরক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু জানান, দুর্ঘটনার পর ট্যাংকারের সামনের একটি চেম্বারের ফাটল দিয়ে সেখানে মজুত তেল নদীতে পড়তে শুরু করে। পরে ট্যাংকারকর্মীরা দ্রুত সেই তেল আরেকটি চেম্বারে সরিয়ে নেন। ফলে তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আসে।

বরিশাল যমুনা অয়েল ডিপোর প্রধান মীর মো. ফকরুল আহসান জানান, এ ঘটনায় ট্যাংকার কর্তৃপক্ষ মামলা করবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০