নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নতুন ট্যানারি ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গতকাল থেকে কোম্পানিটির নতুন এ ইউনিটে শতভাগ চামড়ার জুতা উৎপাদন শুরু হয়েছে। মোট ১১ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে এই ইউনিট চালু করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার বর্গফুট এলাকা নতুন এই ইউনিটের অফিস এরিয়া হিসেবে ব্যবহƒত হচ্ছে। বর্তমানে এই ইউনিটটির প্রতিদিন উৎপাদন সক্ষমতা ৫৩০ জোড়া এবং বছরে জুতা উৎপাদন করতে পারবে এক লাখ ১৬ হাজার জোড়া। বছরে কোম্পনিটি জুতা বিক্রি করে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা আয় করতে পারবে এবং এটি থেকে বছরে মুনাফা করতে পারবে প্রায় দুই কোটি টাকা।
এর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ট্যানারি ব্যবসায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্তের কথা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে জানিয়েছিল যে, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ভারীশিল্প এলাকার সাগরিকা রোডে অবস্থিত কোম্পানিটির বিদ্যমান কারখানা সংলগ্নে একটি লেদার ইউনিট স্থাপন তথা ট্যানারি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। তবে প্রাথমিকভাবে চার কোটি ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে এবং বাকি ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন এই লেদার ইউনিটটি ১৯ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের জমি নিয়ে অবস্থিত এবং অফিস হবে ১ হাজার বর্গফুট অংশজুড়ে। বছরে এক লাখ ৬০ হাজার জোড়া উৎপাদন সক্ষমতা হবে এই ইউনিটটির এবং বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা মুনাফা প্রত্যাশা করছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে জেড ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ তিন কোটি ৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৭৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকরীর কাছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৫ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬৭ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন ১২ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৭ হাজার ২৫৩টি শেয়ার মোট ১২১ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৮১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২২০ টাকায় ওঠানামা করে।
২০১৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৮ পয়সা (ঘাটতি)।