শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কানাডায় বিক্ষোভ করছেন আন্তঃসীমান্ত (কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত) ট্রাকচালকরা। বিক্ষোভ দমনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো সপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান। পরে জারি করেন জরুরি অবস্থা। এসব কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির গাড়িশিল্প ও কৃষি খাত। এ বিষয়ে হুশিয়ার করেছে হোয়াইট হাউস। খবর: রয়টার্স।
কানাডায় ট্রাকচালকরা যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত ক্রসিং আটকে রেখে বিক্ষোভ করছেন। এজন্য দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িনির্মাতা কোম্পানি ফোর্ড তাদের কিছু অংশের উৎপাদন স্থগিত করেছে। বিক্ষোভের কারণে তাদের পাশাপাশি স্টেলানটিসের উৎপাদনও ক্ষতিতে পড়েছে।
বিক্ষোভ থামাতে ট্রাকচালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কানাডা সরকার।
কানাডার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের ট্রাকচালকরাও বিক্ষোভ করেছেন। এ দুই দেশে কভিডজনিত কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ করেন। ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার হার কমে আসার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বিক্ষোভ বাড়ছে।
জানুয়ারির শেষ দিক থেকে কানাডার ট্রাক চালকরা তাদের বাহনের হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। প্রথমে তারা অবস্থান কর্মসূচি করেন। এতেই রাজধানী অটোয়ায় যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে অ্যামবাসেডর সেতুতে কানাডা অভিমুখী যান চলাচল আটকে দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়টের গাড়িনির্মাতা ও কৃষিপণ্য উৎপাদকদের কানাডায় পণ্য রপ্তানির মূল পথ এই সেতু। মঙ্গলবার থেকে আলবার্টা প্রদেশের আরেকটি সীমান্ত সেতুতেও উভয় দিক থেকেই যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
কভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুকরণ করে কানাডা সরকার সীমান্তে কোয়ারেন্টাইন নীতি চালু করে। এরপর বিক্ষোভে নামেন সেদেশের ট্রাকচালকরা। ‘ফ্রিডম কনভয়’ ব্যানারে তারা রাজধানী অটোয়ার প্রাণকেন্দ্র দখল করে বিক্ষোভ শুরু করে। কার্বন কর ও অন্যান্য আইনের প্রতিবাদেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকলেম এ সংকটের দ্রুত সমাধান চান। তিনি বলেন, কানাডার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোয় অবরোধ চলতে থাকলে দেশের অথনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।