শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফেসবুক সব সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ফেসবুকপ্রধান মার্ক জাকারবার্গ। গত বুধবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘ফেসবুক সব সময় ট্রাম্পবিরোধী ছিল। ভুয়া সংবাদ দেয়, নিউইয়র্ক টাইমস (ক্ষমা চেয়েছে) আর ওয়াশিংটন পোস্টও ট্রাম্পবিরোধী ছিল। এসব চক্রান্ত…? কিন্তু মানুষ ট্রাম্পের পক্ষে ছিল! বস্তুত আমরা প্রথম ৯ মাসে যা করেছি আর অর্থনীতি যেভাবে উন্নত হচ্ছে, কোনো প্রেসিডেন্ট এমনটা করতে পারেননি।’ খবর বিবিসি।
প্রেসিডেন্টের এ অভিযোগের জবাবে জাকারবার্গ বলেন, রাজনীতির দুই পক্ষই ফেসবুকের নানা কিছু নিয়ে হতাশ হয়েছে, কারণ এগুলো তাদের পক্ষে ছিল না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থিরাও তাকে ট্রাম্পকে সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তক্ষেপ করেছে, তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। আর মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক আইনপ্রণেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জাকারবার্গ বলেন, ‘প্রতিদিন আমি মানুষকে সংযুক্ত করতে আর সবার জন্য একটি সম্প্রদায় তৈরিতে কাজ করি। আমরা সব মানুষকে একটি কণ্ঠ দেওয়ার ও সব ধারণার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার প্রত্যাশা করি।’ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এ নির্বাচনে বেশি মানুষের কণ্ঠ শোনা গেছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত কোটি আলোচনা হয়েছে, যা অফলাইনে কখনও হয়তো হয়নি। প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, শুধু গণমাধ্যমে আসা বিষয়গুলোই নয়।
ফেসবুকপ্রধান বলেন, ‘আমরা ‘গেট আউট দ্য ভোট’ প্রকল্প চালিয়েছি, যা ২০ লাখের মতো মানুষকে ভোট নিবন্ধনে সহায়তা করেছে। এ বিষয়টি মাথায় রাখলে এ প্রচেষ্টা ট্রাম্প আর ক্লিনটনের প্রচারণার মিলিত প্রচেষ্টার চেয়ে বেশি। এটি একটি বড় বিষয়।’
নির্বাচনের পর ফেসবুকে ছড়ানো ভুয়া সংবাদ নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর, আমি এক মন্তব্যে বলেছি, ফেসবুকে থাকা ভুয়া তথ্য নির্বাচনের ফল বদলে দিয়েছে বলে যে ধারণা করা হচ্ছে, তা পাগলামি। একে ‘পাগলামি’ বলাটি অবিবেচক আচরণ ছিল আর আমি এটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করি।
Add Comment