শেয়ার বিজ : ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। এদিকে বিতর্কিত এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কঠোর সমালোচনার ঝড় বইছে। খবর এএফপি।
ট্রাম্পের এ স্বীকৃতির প্রতিবাদে লেবাননে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে যখন বিক্ষোভ করছে তখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার’ ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করেন।
এ সময় নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইইউর সব বা অধিকাংশ দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করবে বলে তিনি আশা করেন।
এদিকে কায়রোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘অস্থিতিশীলতামূলক’ হিসেবে অভিহিত করে এটির কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। এ সময় দীর্ঘদিন ধরে স্থবির ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় আঙ্কারায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর পুতিন বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণা শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি ও পুতিন একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছেন। এ ক্ষেত্রে উত্তেজনা আরও উসকে দেওয়া অব্যাহত রাখায় ইসরাইলকে অভিযুক্ত করা হয়।
ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পরিণতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তব্য দেন এরদোগান। সোমবার সকালে অঙ্কারায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন রক্তপাতের অংশীদার।
এদিকে বৈরুতে হিজবুল্লাহ আয়োজিত একটি বিক্ষোভ-সমাবেশে হাজার হাজার লোক যোগ দিয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ ও ‘ইসরাইল নিপাত যাক’ স্লোগান দেন। হিজবুল্লাহ ২০০৬ সাল থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে।
তেহরানেও ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ করা হয়। ইরানের কট্টরপন্থীরা এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভকারীরা জানান, ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের ধ্বংস ত্বরান্বিত করেছেন।
ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিক ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এ সময় সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে।