শেয়ার বিজ ডেস্ক: ‘ম্যাড ডগ’ জেনারেল জেমস ম্যাট্টিসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ‘ইউএসএ থ্যাংক ইউ ট্যুর ২০১৬’-এর অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দিতে যাচ্ছি ম্যাড ডগ ম্যাট্টিসকে।’ এ কাজের জন্য ম্যাট্টিস সবার সেরা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘ম্যাড ডগ’ নামে পরিচিত ম্যাট্টিস বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতির কড়া সমালোচক। বিশেষ করে ইরান বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কট্টর বিরোধী ছিলেন তিনি।
ম্যাট্টিস বলে আসছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে ইরানই এখন ‘একমাত্র বড় হুমকি’।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ম্যাট্টিসকে ডিফেন্স সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ের পর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘ইউএসএ থ্যাংক ইউ ট্যুর’ এর আয়োজন করেছে রিপাবলিকান পার্টি। ওহাইও’র সিনসিনাটির সমাবেশের শুরুতেই পেন্টাগণের বস হিসেবে ম্যাট্টিসের নাম ঘোষিত হয়।
এর আগে ৬৬ বছর বয়সী ম্যাট্টিসকে ‘সত্যিকারের জেনারেলদের জেনারেল’ অভিহিত করেছিলেন ট্রাস্প।
অবসরপ্রাপ্ত এ মেরিন সেনা কর্মকর্তা ১৯৯১-এর প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে দক্ষিণ আফগানিস্তানের একটি টাস্কফোর্স কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন ম্যাট্টিস, ফালুজার যুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওই সময় তার একটি মন্তব্য বেশ আলোচনার জš§ দেয়। ইরাকে মেরিন সেনাদের উদ্দেশে সে সময় ম্যাট্টিস বলেছিলেন, ‘ভদ্র হও, পেশাদার হও; কিন্তু মাথায় রেখো, যাদের সঙ্গে তোমার দেখা হবে, তাদের সবাইকে মেরে ফেলতে পারে।’
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার পদ থেকে অবসরে যান ম্যাট্টিস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাট্টিসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীগুলোর মধ্যে হয়তো জনপ্রিয়তা পাবে। তবে তার আগে ট্রাম্পকে একটি সাংবিধানিক বাধা পার হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, সামরিক বাহিনীর উর্দি ছাড়ার পর অন্তত সাত বছর পার না হলে ডিফেন্স সেক্রেটারি হওয়া যায় না।
ওই আইন পাশ কাটিয়ে ম্যাট্টিসের নিয়োগ চূড়ান্ত করার বিষয়টি রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে পাস করতে হবে। আর সিনেটের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিরা তাতে বাগড়া দিতে পারেন ধারণা দেওয়া হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ট্রাম্পের আগে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে আরেক অবসরপ্রাপ্ত তিন তারকা জেনারেল মাইকেল ফ্লিনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
ফ্লিন ২০১৪ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধে তাকে চাকরি ছাড়তে হয়েছিল।