শেয়ার বিজ ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সন্তুষ্ট নন খোদ তার প্রশাসনের প্রধান বাজেট কর্মকর্তা মিক মালভেনি। গত মঙ্গলবার মালভেনি সিনেটকে জানিয়েছেন, তিনি যদি আগের মতো কংগ্রেস প্রতিনিধি থাকতেন তাহলে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করতেন না। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনা ২০০ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। তারপরও বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রেখে সম্প্রতি খসড়া বাজেট পেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত সপ্তাহে কংগ্রেসে পাস হওয়া ভর্তুকি দিয়ে কর হার কমানোর আইন পাস ও দুই বছরের জন্য খরচের মাত্রা নির্ধারণ করার বিল পাসের কারণে প্রাক্কলিত ঘাটতির পরিমাণ প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। মিক মালভেনি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের’ পরিচালক। কংগ্রেসের নি¤œকক্ষের সাবেক সদস্যও তিনি। রিপাবলিকান হিসেবে ঘাটতি বাজেটের বিরুদ্ধে তার অবস্থান।
তিনি যদি ট্রাম্পের প্রশাসনে চাকরিরত না থাকতেন তাহলে বাজেটের এত বড় ঘাটতিকে তিনি গ্রহণযোগ্য মনে করতেন কি নাÑসিনেট কমিটির এমন প্রশ্নের জবাবে মালভেনি বলেন, ‘আমি খুব সম্ভবত অনেক ত্রুটি চিহ্নিত করতাম এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য’।
ম্যানেজমেন্ট ও বাজেট বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের মুখপাত্র মেঘান বুরিস অবশ্য পরে মিক মালভেনির বক্তব্যের অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, মালভেনি বাজেট নিয়ে নয়, বরং দুই বছরের জন্য খরচের সীমা নির্ধারণ করে যে বিল পাস হয়েছে তার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন।
কিন্তু সিনেটে হওয়া কথোপকথন বলছে ভিন্ন কিছু। শুনানিতে ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর প্যাটি মুরে বলেছিলেন, তিনি গত শনিবার শুনেছেন প্রস্তাবিত বাজেটের এই ঘাটতি নিয়ে মিক মালভেনির অনাস্থা আছে। তাকে তিনি বলতে শুনেছেন, তিনি যদি সিনেটে থাকতেন তাহলে এই বাজেটকে ভোট দিতেন না।
৯৮৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বড় ঘাটতির বাজেট পেশ ও তার প্রস্তুতিতে মালভেনির মতো ঘাটতিবিরোধী মনোভাবের রিপাবলিকানের অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দেয়, রিপাবলিকানরা রক্ষণশীল অর্থনৈতিক ধারণা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোয়েন অ্যান্ড কোংয়ের এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির গবেষক ক্রিস ক্রুইগার মন্তব্য করেছেন, ‘ট্রাম্পের বাজেটে যে ঘাটতি তা রিপাবলিকানদের ঘাটতি বাজেটের বিরুদ্ধে থাকার নীতির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে।’
