শেয়ার বিজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন। সিঙ্গাপুরেও গেছেন আরেকটি মার্কিন প্রতিনিধিদল। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি সিঙ্গাপুরেই হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া তাদের বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্স।
মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন জানিয়ে টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কিম জং উন এবং আমার মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করি উত্তর কোরিয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি একদিন বড় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দেশে পরিণত হবে। কিম জং উন এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন। এটা হবেই!’
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানায়, সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারী মার্কিন প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেবেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োজিত সাবেক মার্কিন দূত সুং কিম। পেন্টাগনের কর্মকর্তা রানডাল শ্রিভারও ওই মার্কিন প্রতিনিধি দলে আছেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে আরেকটি মার্কিন দল গত রোববার বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠকটি সিঙ্গাপুরেই হওয়ার কথা। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানান, একটি মার্কিন দল সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছে। সেখানে বৈঠকের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তারা সরবরাহ করবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিম জং উন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে থাকতে পারেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। ব্লু হাউজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মুনের উপস্থিতির বিষয়টি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে প্রাক-সম্মেলনের অগ্রগতির ওপর।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার উনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিমের কাছে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য আমি খুবই উš§ুখ ছিলাম। দুঃখজনকভাবে, ভয়ানক ক্ষোভ এবং প্রকাশ্য শত্রুতার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া আপনার অতি সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রেক্ষিতে আমি মনে করি এটি বৈঠকের যথার্থ সময় নয়।’ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব হতাশা প্রকাশ করে। এরপর শুক্রবার ট্রাম্প ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে নতুন করে ইঙ্গিত দেন। শনিবারের সংবাদ সম্মেলনেও এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।