শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ নেতাদের বেছে নিলেন তিনি। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি দপ্তরের ক্ষমতা প্রথমবার কোনো পুরুষ সংসদ সদস্যের হাতে থাকছে না। মন্ত্রিসভায় নেই সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। সেই সঙ্গে সুনাকের ঘনিষ্ঠদের কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেননি ট্রাস। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
গত মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন ট্রাস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভেরম্যানকে। উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ট্রাসের দীর্ঘদিনের বন্ধু টেরেসে কোফে। ইতিহাস গড়েছেন কোয়াসি কোয়ারতেং। ঘানার বংশোদ্ভূত, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে যুক্তরাজ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন জেমস ক্লেভারলি। তার মা সিয়েরা লিওনের বাসিন্দা। জš§ পরিচয় ঘিরে নিন্দা শুনেছেন ক্লেভারলি।
প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে হারের পর ঋষি সুনাকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভায় ঋষি থাকবেন না, আগেই সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভায় থাকার জন্য ওপরমহলের কথা শুনতে বাধ্য করা হয়। সেরকম পরিস্থিতিতে তিনি আর পড়তে চান না। আরও জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঋষিকে ভেবেছিলেন ট্রাস। কিন্তু সেই দায়িত্ব নিতে ঋষি রাজি নন বলেই জানা যায়।
উল্লেখ্য, নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি সুনাক ঘনিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের কেউ। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল আগেই পদত্যাগ করেছেন। ট্রাসের জয়ের পরেই প্রীতি অনুমান করতে পেরেছিলেন, তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। সে কারণে নিজে থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অন্যদিকে, নির্বাচনের সময় ঋষির হয়ে প্রচার করেছিলেন ডমিনিক রাব, গ্রান্ট শ্যাপস, স্টিভ বার্কলে ও জর্জ ইউস্টিস। তাদের চারজনকেই মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাস। তবে সরকারকে সামর্থ্য মতো সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন ঋষি।