শেয়ার বিজ ডেস্ক: ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা কোম্পানি টেসলা। স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কের পুঁজিবাজারে ১২ শতাংশ বেড়ে টেসলার প্রতিটি শেয়ার বিক্রি হয় এক হাজার ২৫ ডলারে। শেয়ারবাজারে এ বিস্ময়কর উত্থানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন ডলারের স্বপ্নের সংখ্যা স্পর্শ করে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টেসলা। খবর: ব্লমবার্গ, সিএনএন।
এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ষষ্ঠ কোম্পানি হিসেবে এক লাখ কোটি ডলার (ট্রিলিয়ন ডলার) মূল্যমানের প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করল টেসলা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানির মধ্যে আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমান নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাপল, দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে দুই নম্বরে মাইক্রোসফট। এক দশমিক আট ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট তিন নম্বরে এবং এক দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে আমাজন চার নম্বরে।
টেসলার শেয়ারের দামের এ উল্লম্ফনের পেছনে প্রভাবকের কাজ করে মূলত দুটো বিষয়। প্রথমত, টেসলার থেকে এক লাখ বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার অর্ডার দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও শীর্ষ গাড়িভাড়া প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (কার রেন্টাল কোম্পানি) হার্জ।
সম্প্রতি টেসলার শেয়ারের দাম আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান মর্গান স্ট্যানলির অ্যাডাম জোনাস। অ্যাডাম জোনাসের এ পূর্বাভাসও অনেকটাই প্রভাবক হিসেবে কাজ করে টেসলার শেয়ারমূল্যের বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে। দুর্দান্ত গতিতে এগুতে থাকা টেসলার শেয়ারের দাম এক হাজার ২০০ ডলারে ওঠার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে শেয়ারবাজারের ইতিহাসে আইপিও ছাড়ার পর সবচেয়ে কম সময়ে ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান টেসলা। ২০১০ সালে আইপিও ছাড়ার মাত্র ১২ বছরের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে সক্ষম হলো তারা।
টেসলার আগে সবচেয়ে কম সময়ে এক ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর গৌরব আছে শুধু ফেসবুকের। আইপিও ছাড়ার মাত্র ৯ বছরের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্যমানে পৌঁছেছিল তারা।
এদিকে সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে টেসলার বর্তমান মূল্যমান দাঁড়িয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১১টি গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মোট মূল্যমানের থেকেও বেশি।