নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকে ব্যক্তিপর্যায়ে লেনদেনগুলো হয় সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে। এতে খুব একটা বড় আকারের লেনদেন করা যায় না। বড় লেনদেন হয় ব্যবসায়ীদের হিসাবের মাধ্যমে, ব্যাংকিং ভাষায় যাকে চলতি হিসাব (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) বলা হয়। এটি খুলতে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। তবে এখন থেকে ব্যক্তিপর্যায়ের উদ্যোক্তারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যাংকে ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ খুলতে পারবেন।
এতে কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। ই-কেওয়াইসি ও ব্যাংক হিসাব খুলতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এটি চলতি হিসাবের মতোই পরিচালিত হবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে এ হিসাব। তবে এ হিসাবের মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না।
গতকাল এমন প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের পণ্য বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারীদের লেনদেন সাধারণত বেশি হয়। কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের লেনদেন ব্যাংকের বাইরেই নগদ অর্থে হচ্ছে। এসব লেনদেনকে সহজে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে এই উদ্যোগ।
এর ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারীরাও চলতি হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন। শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র/ভাসমান উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীরা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব তৈরি/ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত পণ্য বিক্রেতারাও ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ চালু করতে পারবেন, যা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও সম্ভব হবে।
অপরদিকে এমএএফএস অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবধারীদের বেলায়ও এটি প্রযোজ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কোনো এজেন্ট এ হিসাব খুলতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধানে চলতি হিসাব পরিচালনা করা যাবে। এ হিসাব পরিচালনার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিপর্যায়ের চেয়ে লেনদেনসীমা বেশি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।