নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও আত্মীয়স্বজনের রেফারেন্সে (সুপারিশ) ট্রেনে কোনো প্রকার অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দাবি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রীর রেফারেন্সে ট্রেনে কোনো প্রকার অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দেয়া যাবে কি না, এমন কোনো তথ্য নির্দেশনায় নেই।
গতকাল বিকালে রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি দেখা যায়, রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অগোচরে তাদের রেফারেন্সে আত্মীয়, পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব পরিচয় উল্লেখ করে বিভিন্ন রেলস্টেশনে টিকিট দাবিসহ ট্রেনে উঠে বিশেষ সুবিধা দাবি করছেন। এছাড়া অনেকে মন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের কাছে আত্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের কাছে বিভিন্ন প্রকার অবৈধ সুযোগ-সুবিধার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছেন। বিষয়টি মন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোন নম্বরগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠালে তাদের সঠিক পরিচয় জানার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আদেশে আরও বলা হয়, ‘এছাড়া এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভ্রান্তি না হওয়ার জন্য এবং দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
গত ৫ মে রাতে পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠেন ‘রেলমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। টিকিট না কাটলেও তারা রেলের এসি কেবিনের সিট দখল করেন। এতে রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) তাদের জরিমানা করেন। পরে ‘রেলমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়দানকারী ওই তিন যাত্রী তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয় বলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ করেন। এতে টিটিই শফিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতেই সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ। সাময়িক বরখাস্তের আদেশ শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে। পাশাপাশি কারণ দর্শানোরও নোটিস দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনা তদন্তে শনিবার (৭ মে) সকালে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
