নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পরিচয়পত্র বা ফটো আইডি কার্ড ছাড়া যে কারও ট্রেনে চড়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। টিকিটে কালোবাজারি বন্ধে নতুন যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তাতে জানানো হয়েছে, যার নামে কাটা হবে, তার পাশাপাশি সঙ্গে যে বা যারা যাবেন, টিকিটে তাদের সবার নাম থাকবে এখন থেকে। কেবল নাম থাকবে না, সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ফটো আইডিও সেই যাত্রীকে রাখতে হবে।
টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ ভিনসেন জেভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ দেবনাথ নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, রেলওয়ের চাহিদা অনুযায়ী টিকিটে সহযাত্রীর নাম এখন থেকে উল্লেখ থাকবে।
সহযাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিও থাকবে কি নাÑএমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনও রেলওয়ে এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি। রেলওয়ে বললে যুক্ত করা হবে। আপাতত যিনি এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট কিনবেন, তার সঙ্গের সহযাত্রীদের নাম যুক্ত করলেই চলবে, এনআইডি কিংবা ছবি লাগবে না।’
সহজের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘আগামী ৭ এপ্রিলের পর থেকে টিকিট কেনার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সহযাত্রীদের নাম (তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র/ ফটো আইডিতে দেয়া) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভ্রমণের সময় সব যাত্রীদের অবশ্যই তাদের এনআইডি/ফটো আইডি সঙ্গে রাখতে হবে।’
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে গত ১ মার্চ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর বা জš§নিবন্ধন সনদ নিয়ে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়।
একটি আইডিতে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কাটা যায়। সে ক্ষেত্রে সহযাত্রীরা এত দিন বিনা প্রশ্নেই ট্রেনে চড়তে পারতেন। সেটিও এবার বন্ধ হচ্ছে। যার নামে টিকিট কাটা হয়েছে, ট্রেনে যাত্রার সময় তার পরিচয়পত্র বা জš§নিবন্ধন সনদ বা ফটোকপি সঙ্গে থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয় সেদিন থেকে। রেলকর্মীরা পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিট মিলিয়ে দেখছেন। যদি না মেলে তাহলে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
নতুন নির্দেশে সহযাত্রীদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র বা ফটো আইডি না থাকলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে বিষয়ে ফেসবুকে কিছু বলা নেই। তবে সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, ‘সহযাত্রীদেরও পরিচয়পত্র বা ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। নইলে তাদেরও জরিমানা হবে।’
এ নির্দেশনার পর ‘সহজ’-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, একটি আইডি দিয়ে দুই, তিন বা চারটি টিকিট কেনার ক্ষেত্রে আসন নির্বাচন করার পরের ধাপে ‘প্যাসেঞ্জার ২/৩/৪’-এর জায়গায় স্টার মার্ক করা একটি করে নামের জায়গা খালি রাখা হয়েছে।
সেখানে নাম না লেখা পর্যন্ত ‘প্রসিড’ অপশনটি আসবে না। অর্থাৎ টিকিটগুলো কেনার কাজটি শেষ হবে না।
গত ২২ মার্চ দুপুরে রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, একজন যাত্রী ঈদ অগ্রিম টিকিট ও ফিরতি যাত্রায় সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
নিবন্ধন করা যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কেনার সময় সহযাত্রীদের এনআইডি অথবা জš§নিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
