Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:58 am

ঠাকুরগাঁওয়ে গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভিড়

শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও : হেমন্তের মাঝে শীতের আগমনী ধ্বনি বেজে উঠেছে, নিচে নামছে তাপমাত্রার পারদ। হেমন্তে দিবারাত্রির হিম-হিমভাব যেন শীতেরই পদধ্বনি দিচ্ছে। রাত বাড়ার পর অল্পস্বল্প হলেও ভোরের দিকে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশায় মোড়ানো রাত, শিশির ভেজা সকাল ও হালকা হিমেল বাতাস আভাস দিচ্ছে শীতের আগমনীর।

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ফলে বাড়ছে শীতের কাপড়ের চাহিদাও। শীত বাড়তে শুরু করায় ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলোও। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের।

বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠে, ঠাকুরগাঁও রোড, পৌর হকার্স মার্কেট, পুরোনো বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাতে ও ভ্যান গাড়িতে করে বাহারি রঙের এসব শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এসব কাপড় কিনতে আসছেন নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কয়েক দিন ধরেই শহরের প্রায় সব দোকানে কম-বেশি শীতের কাপড় কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে।

সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠের আনছার ক্যাম্পের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বাজারের দুই পাশের ফুটপাতে বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই তাদের বিক্রি বেড়ে যায়। কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতে উলের সোয়েটারের দাম পড়ছে ১৬০ থেকে ৩০০ টাকা। জ্যাকেট ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়া ফুলহাতা গেঞ্জি ও বাচ্চাদের জামা সেট ৫০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

শীতের পোশাক কিনতে আসা চিলারং ইউনিয়নের বাসিন্দা মনুরা বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবার জন্য সোয়েটারসহ কয়েকটি শীতের কাপড় কিনেছি। নিজের জন্য একটি উলের সোয়েটার কিনেছি। শীত বেশি পড়ায় দোকানিরা দাম বেশি চাচ্ছে। অনেক দর-দামের পর ট্রাউজার তিনটি কিনেছি ৩০০ টাকায়। শাশুড়ির জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি ১৩০ টাকায়। অন্য সময় এগুলো ৬০-৭০ টাকায় পেতাম। কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায় ফুটপাতে। তাই আমাদের শেষ ভরসা ফুটপাতই।’

শিবগঞ্জের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার পাঁচ বছর বয়সী শিশু ছেলে রয়েছে। শীতের আভাসে চলে এসেছি ছেলের জন্য গরম পোশাক কিনতে।’ আর ঝুমকা বেগম বলেন, ‘শীত তো এসেই পড়েছে। সকাল ও রাতে ভালোয় শীত পড়ছে। শিশুদের তো গরম কাপড় লাগবেই। তাই পোশাক কিনতে আসলাম।’

এদিকে ফুটপাতের দোকানি মানিক হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। সবাই বাচ্চাদের কাপড় বেশি কিনছেন। অন্যান্য পোশাকও আছে।