প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নসহ অন্যান্য এলাকাজুড়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি।
মরিচ চাষে শুধু চাষিরাই লাভবান হননি, বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন সংশ্লিষ্ট দিনমজুরসহ ব্যবসায়ীরাও।
উপজেলার ঢোলারহাট, শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ভাউলার হাট, দেবীগঞ্জ, আরাজী ঝাড়গা, ভেলাজানসহ প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে করা হয়েছে মরিচের আবাদ। লাল-সবুজে সয়লাব মরিচের ক্ষেত। কেউ মরিচ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন, আবার কেউ বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছে এ এলাকার অনেক চাষি পরিবার। আবার যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
চলতি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় মরিচ ক্ষেত কিনে পাইকাররা বিঘাপ্রতি আট থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের ভাউলার হাটের বাজারগুলোতে প্রতি মণ মরিচ আট হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভেলাজানের এক মরিচচাষি ধনঞ্জয় বর্মণ জানান, এ বছর আট বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তার খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা মরিচ ক্ষেত ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন তিনি।
উপজেলা কৃষি সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অনেক হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে উচ্চ মূল্য থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আমরা প্রত্যেক কৃষককে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছি। বেশি করে মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় ব্যাপক সাফল্য এসেছে।