Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 4:21 am

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বল্প ব্যয়ে মিষ্টিকুমড়ার বেশি ফলন

প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা থেকে রুহিয়া পর্যন্ত ২১টি ইউনিয়নের বড় অংশজুড়ে এখন দেখা মিলবে কাঁচা-পাকা মিষ্টিকুমড়া। ঠাকুরগাঁও, শিবগঞ্জ, গড়েয়া, রহিমানপুর, আখানগর ও বড় খচাবাড়ী মহাসড়ক লাগানো এবং এ হাটের পাশে মহাসড়কের পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত ঘেঁষেই প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে জমজমাট কুমড়ার কেনাবেচা।

একই জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে এসব কুমড়া চাষ করেন কৃষক। আবার অনেক কৃষক এগুলো এককভাবে চাষ করেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ফলনও বেশি পাওয়া যায়।

আমজাদ হোসেন পেশায় কৃষক। তার মতো অনেক কৃষকই এ হাটে কুমড়া বিক্রি করতে আসেন, কারণ এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড় ও মাঝারি মানের ব্যাপারীরা আসেন। চাহিদা অনুযায়ী তারা বিপুলসংখ্যক কুমড়া কিনে থাকেন। এতে দামও তুলনামূলকভাবে ভালো পাওয়া যায়। এছাড়া ব্যাপারীর অভাবে ক্ষেতের ফসল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় না। তাছাড়া স্থানীয় ব্যাপারীও কম নেই।

আখানগর ইউনিয়নের সবজিচাষি রমজান আলী রহমান জানান, কুমড়া চাষ অনেক লাভজনক। অল্প ব্যয়ে ফলন বেশি পাওয়া যায়, সে অনুযায়ী লাভও ভালো হয়। এ ফসল চাষের সুবিধাজনক দিক হলো, এটি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে অন্য ফসলও হয়, আবার বাড়তি হিসেবে কুমড়াও হয়।

এনতাজ আলী নামে আরেক চাষি জানান, তিনি আলুর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে কুমড়া লাগিয়েছিলেন। আলু বিক্রি বেশ আগেই শেষ করেছেন। এখন জমিতে কুমড়া রয়েছে। সেই কুমড়া বাজারে বিক্রি করছেন।

এসব চাষি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন কুমড়ার চাষ বাড়ছে। এক্ষেত্রে চাষিরা বর্তমানে বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের কুমড়া চাষকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কেননা এসব জাতের গাছ থেকে ফলন বেশি পাওয়া যায়। কুমড়ার আকারও অনেক বড় হয়। আর বাজারে বড় আকারের কুমড়ার দামও বেশি পাওয়া যায়।

কৃষি সূত্র  জানায়, মিষ্টিকুমড়া চাষের জন্য এখানকার মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া অত্যন্ত স্বল্প খরচে চাষি সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টিকুমড়া চাষ করতে পারেন। মিষ্টিকুমড়ার ফলনও বেশি হয়। অবশ্য অনেক চাষিই আবার এককভাবে এ ফসল চাষ করে থাকেন।

সময়ের ব্যবধানে ও প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে এ জেলায় মিষ্টিকুমড়ার চাষ দিন দিন বাড়াচ্ছেন কৃষক। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ থেকেই কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।