প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে হেমন্ত না আসতেই প্রকৃতিতে শিশিরবিন্দু শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। শরৎ এর বর্ধিত বর্ষা পেরিয়ে হাল্কা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সূর্যের লাল আভা।
দিনের আলো ফুটতেই ঘাসের ডগায় মুক্তোদানার মত ঝলমল করছে স্নিগ্ধ শিশির কণা। আর এসব থেকেই ঠাকুরগাঁয়ের প্রকৃতি জানান দিচ্ছে, শীত এল বলে। যদিও ক্যালেন্ডারের পাতায় শীত ঋতুর আগমন এখনো অনেক দিন বাকি। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেই আবহাওয়া সংক্রান্ত খোঁজ-খবর জানানো হয়।
জেলা অফিসের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এ অঞ্চলে একটু আগেই শীত নামতে শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরে এখানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে।
এ অবস্থায় সারাদিন গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে শীতের কুয়াশা পড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামলেই বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমে স্নিগ্ধ শিশিরের কণা। গত কয়েকদিন ধরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এমনটাই ঘটছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রকৃতিতে।
শহরের ভেলজান এলাকার গৃহবধু মনুরা আক্তারের মতে, অন্য বছরের তুলনায় এবার ঠাকুরগাঁওয়ে আগে-ভাগেই শীত নামতে শুরু করেছে। সদরের আখানগর এলাকার মেহেদী হাসান বলেন, দিনে রোদের তাপ; কিন্তু রাত ১২টার পর থেকে চিত্র পাল্টে যায়। পড়তে শুরু করে কুয়াশা। রাতে গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে ঘুমোতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক জনাব ইশরাত ফারজানা বলেন, দেশের অন্য জেলার চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, জেলার অনেক অঞ্চলে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষক। নতুন ধান ঘরে তুলতে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। নারগুন এলাকার কৃষক আবু সুফিয়ান বলেন, তাদের এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলে পল্লী অঞ্চলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নতুন ধান কাটার পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।