ডব্লিউটিও’তে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাদানুবাদ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধির মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, চীন তাদের প্রযুক্তি আইডিয়া চুরি করছে। এ বিষয়ে সংস্থাটির কাছে অভিযোগও করেছিল মার্কিন প্রশাসন। চীন তা অস্বীকার করে আসছে। খবর রয়টার্স।
ডব্লিউটিওর ডিসপিউট সেটেলমেন্ট বডির (ডিএসবি) সেশন আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেনিস শিয়া বলেন, ‘আইনের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি স্থানান্তরে বাধ্য করছে চীন।’ এর প্রতিবাদে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং শিয়াংচেন বলেন, ‘চীন প্রযুক্তি স্থানান্তরে বাধ্য করছে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রই প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুফল বেশি ভোগ করছে।’
অনেক দিন ধরেই মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে চীন। প্রথমে তাতে শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হলেও এখন অভিযোগ রয়েছে, মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারী হিসেবে ঢুকছেন চীনের ধনকুবেররা। এরপর ওইসব প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পদে বসছেন তারা। নিজের প্রতিষ্ঠানে তৈরি পণ্যে স্বাভাবিকভাবেই মালিকের পূর্ণ অধিকার থাকে। এভাবে উদীয়মান মার্কিন প্রযুক্তিতে পড়ছে চীনের সিল। নতুন এই প্রক্রিয়ায় চীন সম্পূর্ণ আইনসম্মতভাবে মার্কিন প্রযুক্তি পকেটে পুরছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সব নিয়মকানুন মেনে চলছেন চীনা ধনকুবেররা। অভিযোগ হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারও মদদ দিচ্ছে। অর্থাৎ পুরো বৈধ উপায়ে মার্কিন প্রযুক্তি ছিনিয়ে নিচ্ছে চীন। বর্তমান আইনে চীনকে ঠেকাতে না পেরে এখন নতুন আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন মার্কিন সরকার ও দেশটির আইনপ্রণেতারা।
প্রতিবেদনমতে, ‘মেড ইন আমেরিকা’ এই স্লোগানের বিপরীতে তৈরি হয়েছে ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’। কলকারখানার প্রযুক্তিগত উন্নতি করা এর অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করছে দেশটির সরকার। বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রযুক্তি হস্তগত করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগের ওপর বেশি নজর দিচ্ছে চীন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০