ডমিনেজ স্টিলের ঋণমান‘এ’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)।

এদিকে সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। পরিবর্তিত বাজারের চাহিদা মোকাবিলার পাশাপাশি একটি সুরক্ষিত টেকসই ব্যবসা এবং কোম্পানির মুনাফা বাড়ানোর জন্য আইপিও’র ফান্ড ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। প্রস্তাবিত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভবন ও নির্মাণকাজের জন্য পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ টাকা, ইলেকট্রিক ইনস্টলেশনের জন্য দুই কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং নতুন প্রকল্প এবং যন্ত্রপাতি অধিগ্রহণের কাজে ২০ কোটি ৪১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৩ টাকা ব্যয় করবে কোম্পানিটি। শেয়ারহোল্ডার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি নিয়ে আইপিও ফান্ড ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় সংশোধন করতে পারবে কোম্পানিটি।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫২ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস কমেছে ৩৭ পয়সা, যা শতাংশের হিসেবে দাঁড়ায় ৭১ শতাংশ। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৯ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮২ পয়সা।

এছাড়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতীত) ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা চার পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির (এনওসিএফপিএস হয়েছে দুই টাকা ৭৭ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ এবং আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা। ওই দিন কোম্পানিটির দুই লাখ ৫০ হাজার ৬৮৯টি শেয়ার মোট ৩১০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওই দিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে আসা এ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১০ কোটি ২৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০