নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের দুটি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তারা কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে কার্যক্রম বন্ধ দেখতে পান। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, মঙ্গলবার ও গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির আউকপাড়া, আশুলিয়া ও নরসিংদীর পলাশ এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরি-১ ও ফ্যাক্টরি-২ পরিদর্শনে গিয়ে কারখানা দুটির কার্যক্রম বন্ধ পায় ডিএসইর প্রতিনিধি দল। সিকিউরিটিজ আইনানুসারে কারখানা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সে তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও স্টক এক্সচেঞ্জকে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানায়নি কোম্পানিটি।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৭টি শেয়ার মোট ১ হাজার ৬৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৩ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওই দিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদও সর্বনিম্ন ১১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩ থেকে মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৩০ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে শুধুমাত্র তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৩ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৯৮ পয়সা ছিল।
প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট রিজার্ভের পরিমাণ ৭৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ২৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৬ দশমিক ০১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬১ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪ পয়সা।