ডরিন পাওয়ারের ঋণমান ‘এএ’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ছাড়া শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ১৩ শতাংশ নগদ এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য ১২ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ সর্বমোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৪৬ পয়সা।

জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬১ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডরিন পাওয়ারের রিজার্ভে রয়েছে ৫০১ কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের সহযোগী দুই কোম্পানির আয় বেড়েছে। একইসঙ্গে বকেয়া ঋণ ও সুদের হার কমায় আর্থিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর ফলে এ প্রান্তিকে ডরিন পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। কোম্পানিটির প্রকাশিত চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা পাঁচ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ২৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৮৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল তিন টাকা ৮৫ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০