নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের ফেনী পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জনা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডরিন পাওয়ারের তিনটি প্লান্টের মধ্যে একটি ২২ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ায় প্লান্টের উৎপাদন গত ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে ডরিন পাওয়ার এরই মধ্যে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশনস কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ৭ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা তিন পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৯৪ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৫০ টাকা ৪৭ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৪ পয়সা (ঘাটতি)।
জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ডরিন পাওয়ারের রিজার্ভে রয়েছে ৭০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৪৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩২ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ১৩ শতাংশ নগদ এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য ১২ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ সর্বমোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৪৬ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ছয় টাকা ৮ পয়সা; আর ২০২০ সালের ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৬৮ পয়সা।