নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মুক্তবাজার পদ্ধতিতে চাহিদা বেশি থাকায় ডলারের দাম কয়েক মাস ধরে বেড়ে চলছিল। কিন্তু গতকাল হঠাৎ ডলারের দাম উল্টো কমতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার বিক্রি করেছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সায়। অথচ তার একদিন আগে মঙ্গলবার ডলার বিক্রি হয়েছে ৯২ টাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার পরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়ে গেছে। তাই বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই চাহিদা সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। আর মুক্তবাজার পদ্ধতিতে ডলারের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে গেছে। এজন্য প্রায়ই ডলারের দাম বেড়েছে। আমাদের প্রবাসী আয় ও রেমিট্যান্স বাড়লে ডলারের দাম আবার ক্রমহ্রাসমান হারে কমতে পারে। এটা নির্ভর করবে বাজারের ওপর।’
জানা গেছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলার বিক্রি করছে ৯২ টাকায়। সোমবার ডলার বিক্রি হয়েছে ৯১ টাকা ৯৫ পয়সায়। রোববার আন্তঃব্যাংক ডলারের রেট ছিল হয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। তার আগে বৃহস্পতিবার অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায়। আর গত ৯ জানুয়ারি ডলারে দাম বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আ?রও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। ১০ মে ডলারের দাম ২৫ পয়সা, ১৬ মে ৮০ পয়সা ও ২৩ মে ৪০ পয়সা বাড়ানো হয়। ফলে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সায়। এরপর গত ৩১ মে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ২ জুন ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।