নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকের দিন শেষ হয়নি, বরং আরও বাড়ছে। ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা জিপিও আকস্মিক পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী জিপিও’র বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা এরই মধ্যে সেটা পেরেছি। দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে, তা দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই।
তিনি বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে বা তাদের পণ্য আনতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। কভিডকালে কৃষকের ফল, সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাকসেবার অবদান তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের অভিযাত্রায় প্রেরক ও গ্রাহকরা ডাকদ্রব্যের সর্বশেষ অবস্থান বা বিতরণের তথ্য ট্রেক করেই জানতে পারছেন। এছাড়া গ্রাহকদের সুবিধার্থে ঢাকা জিপিওসহ গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘরগুলোয় ডিজিটাল সিরিয়াল সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথনকশা আমরা তৈরি করছি। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা শুরু হবে। এরই মধ্যে ১৪টি সর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি।
মন্ত্রী গ্রাহকসেবা ও জিপিও’র পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের তদারকি আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রী ঢাকা জিপিওতে স্থাপিত প্রশাসনিক শাখা, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ফিলাটেলিক ব্যুরো পরিদর্শন করেন। তিনি জিপিও’র ভবন ও আসবাবপত্র মেরামত করার জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন।