Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 10:45 pm

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এর আগে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের লভ্যাংশ দেওয়ার নীতিমালা অনুযায়ী একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে তবে ওই ৩০ শতাংশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে। এজন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজিএমে আগের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনে বিনিয়োগকারীরা ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার অনুমোদন করেছে।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৬৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ৮৫ পয়সা।

এদিকে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৫৬ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৩৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪৭ টাকা ১২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ৮৬ পয়সা আগের বছর একই প্রান্তিকে হয়েছিল চার টাকা ৯ পয়সা।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ছিল ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা এক পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১২ টাকা ২৮ পয়সা ও ৯৭ টাকা ৪১ পয়সা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৬ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ১০ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার মোট ৩৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় লাখ ১৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৫৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৭৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়।