নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক নেদারল্যান্ডসের কৃষিমন্ত্রী হ্যান্ক স্ট্যাগহ্যাওয়ার এর সঙ্গে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক সৌজন্য বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষিপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডাচ কৃষিমন্ত্রী ফ্লোরিডা এক্সপো’তে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, এর ফলে নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং পণ্যের ব্যাপ্তি ও বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারছে।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ডাচ কৃষিমন্ত্রীকে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি দি হেগ-এ ডাচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অংশীদারিত্বে সফলভাবে আয়োজিত এগ্রি-বিজনেস কনক্লেভ এবং অংশগ্রহণকারী ডাচ এগ্রো বিজনেস কোম্পানিগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কেও ডাচ কৃষিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্যভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চালসহ কিছু প্রধান খাদ্যশস্য, শাকসবজি, মৎস্য উৎপাদন ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী শীর্ষ দশে রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত জটিলতা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরিত করতে মনোযোগী। এর মধ্যে কৃষিকে জলবায়ু-সহনশীল করা, রাসায়নিক সার ও পানির ব্যবহার কমানো, ডিজিটালাইজড উৎপাদন ও বন্টন, কৃষি-লজিস্টিক খাতকে উন্নত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় দীর্ঘ মেয়াদী গবেষণা ও পরিবর্তন আনতে নেদারল্যান্ডসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। মন্ত্রী ডাচ কৃষি-ব্যবসা এবং কৃষি প্রযুক্তি বাংলাদেশে আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নওরিদ শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
একইদিন সকালে কৃষিমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের ইমেলুর্ডে শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রফতানিযোগ্য জাতের আলু উৎপাদনের মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠপরিদর্শনে আলুর বীজ উৎপাদন এবং আলুর বীজের গুনাগুণ নির্ণয় ও সত্যায়ন সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আলু উৎপাদন বহুগুণে বাড়ান সম্ভব। কিন্তু বাজারজাতকরণে সমস্যা রয়েছে। শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রফতানিযোগ্য জাতের আলু চাষ করতে পারলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি, জানান এ কর্মকর্তা।
শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রফতানিযোগ্য বেশ কিছু জাতের আলু নেদারল্যান্ডস থেকে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আনা হয়েছে, যেগুলোর পরীক্ষামূলক আবাদ শেষ হয়েছে এবং এখন কৃষক পর্যায়ে নেয়ার কাজ চলমান আছে।