Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:08 am

ডাবের মূল্য আকাশছোঁয়া রোগীদের মাথায় হাত

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: বর্তমানে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ডাবের পানির চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকহারে। এই সুযোগে ডাবের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কিছু অসাধু ডাব ব্যবসায়ী। একটি বড় আকারের ডাবের মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি ডাব ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং ছোট আকারের ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এতে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত শ্রেণির মানুষকে গুনতে হচ্ছে অধিক টাকা। হাসপাতালগুলোর সামনে দেখা যায় অনেক রোগী ডাব কিনতে এসেও টাকার জন্য কিনতে পারছেন না।

ডাবের এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, ফলন কম তবে ডেঙ্গুর কারণে এবছর চাহিদা বেশি। ফলে পাইকারি কিনতে হচ্ছে বেশি টাকা দিয়ে।

মানিকগঞ্জ জেলার কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ডাব বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ডাবের এমন আকাশছোঁয়া মূল্যের কথা জানা যায়।

এসময় মেডিকেলের সামনে একটি মুদি দোকানের সামনে ডাব বিক্রি করছিলেন মাসুদ বিশ্বাস। তিনি জানান, তিনি এক বছর ধরে ডাব বিক্রি করছেন। এক বছর আগে যে ডাবের মূল্য ছিল ১০০ টাকা, সেটার দাম এখন ২০০ টাকা। দাম বেশি থাকতেও ডাবের চাহিদা বেশ ভালোই রয়েছে। অনেক সময় তারা ডাব বিক্রি করে সারতে পারেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাব বিক্রেতা তার পাইকারি মূল্যের রশিদ বের করে বলেন, ভাই দেখেন আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে গাড়িভাড়াটাও আছে। পাইকারি বাজারমূল্য বেশি থাকায় আর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সব মিলিয়ে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ডাব কিনতে আসা খুরশু মিয়া বলেন, ‘আমি সেই কলিয়া থেকে আসছি। রাস্তায় কোথাও ডাব দেখতে পাইনি। মেডিকেলের সামনে পেলাম, তাই মাঝারি আকারের ডাব ১৫০ টাকা করে চারটি নিলাম। তিনি বলেন, দামটা তো বেশিই, কিন্তু না নিয়ে তো উপায় নেই। নিতেই হবে কারণ নাতি অসুস্থ।’

এসময় গৌরাঙ্গ নামের এক ডাব ক্রেতা বলেন, ‘আমি ডাব কিনেছি রক্ত দিতে আসা (ডোনার) এক ব্যক্তির জন্য। তিনি বলেন, ২০০ টাকা ডাবের মূল্য এটি আমার জন্য অনেক বেশি। কিন্তু আমার শাশুড়িকে যিনি রক্ত দিলেন, তার সুস্থতার জন্য এই ডাবের জল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি টাকা দিয়েই কিনতে হলো।’

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, সঠিকভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলেই এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। বাজার সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হলে বাজারের মূল্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।