নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশের মাত্র ১২ শতাংশ মানুষের ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবার অনেক মানুষ টাকার অভাবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যান না। এ বিষয়ে সবার জানা প্রয়োজন, শহর বা গ্রামের প্রতিটি হাসপাতাল থেকে এখন ডায়াবেটিসের প্রায় সব ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা বিনা খরচে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিগগির ডায়াবেটিসের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামগ্রী ইনসুলিনও বিনা খরচে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি এ আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নন কমিউনিকেবল ডিজিসের কারণে দেশের অন্তত ৬১ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। নন কমিউনিকেবল অন্যান্য রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ডায়াবেটিস রোগটি নীরবে শরীরে চলে আসে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের পাশাপাশি শহরের মানুষজনও অনেকে স্বাস্থ্য সচেতনতা বা ডায়াবেটিস নিয়ে তেমন একটা সচেতন নয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা বিনা খরচে পাওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের চিকিৎসাও মানুষ ঘরের পাশে থাকা যে কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিকেই পাবেন।
মন্ত্রী জানান, বিশ্ব থেকে ২১ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ডোজ হাতে এসেছে। এ মাসে আরও প্রায় ৪ কোটি ডোজ চলে আসবে। প্রায় ৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মানুষকে দেয়া হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও নিয়মিত ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এভাবে চললে আমরা দ্রুতই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব সায়েফ উদ্দিন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফয়েজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
