ডায়াবেটিসের রোগীরা ফল খাবেন কতটুকু

জুস বা শরবত করে খাওয়ার চেয়ে আস্ত বা গোটা ফল খাওয়া ভালো, কারণ এতে ফাইবার অটুট থাকে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সারাজীবন শর্করাজাতীয় খাবার পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিতভাবে খেতে হয়। গ্রীষ্মকালে অনেক ফলমূল পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন, ফল মিষ্টি হওয়ায় খাওয়া যাবে না। আবার এমনও ভাবেন কেউ কেউ, শর্করা বাড়লে প্রয়োজনে ইনসুলিন বা ট্যাবলেট বাড়িয়ে দেবেন। এটাও ভুল ধারণা। নিয়ম ও সময় মেনে ফল খেলে রক্তে শর্করা বাড়বে না, ইনসুলিন বা ট্যাবলেটের মাত্রাও বাড়াতে হবে না। ডায়াবেটিসের রোগী কোন ফল কতটুকু খেতে পারবেন, তা জানা থাকলে রোগীদের সুবিধাই হবে, যদি তিনি তা মেনে চলেন।

কাঁঠাল: ডায়াবেটিসের রোগী দিনে পাকা কাঁঠালের তিন-চারটি কোষ খেতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, ওই দিন অন্য কোনো মিষ্টি ফল, যেমন আম, কলা, তরমুজ, পাকা পেঁপে বা খেজুর খাওয়া যাবে না।

আম: সারাদিনে মাঝারি আকারের আম হলে একটি অথবা বড় আকারের হলে অর্ধেক খাওয়া যাবে।

লিচু: ডায়াবেটিসের একজন রোগী দিনে ছয়টির বেশি লিচু খেতে পারবেন না। তবে ওই দিন অন্য মিষ্টিজাতীয় ফল খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

তরমুজ: অনেকের ধারণা, তরমুজে জলীয় অংশ বেশি, তাই সুগার বেশি বাড়বে না। এ ধারণা সঠিক নয়। ডায়াবেটিসের একজন রোগী দিনে এক ফালি তরমুজ খেতে পারবেন।

জাম: রক্তের চিনি ও চর্বি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে যত খুশি জাম খেতে পারেন।

জেনে রাখুন: জুস বা শরবত করে খাওয়ার চেয়ে আস্ত বা গোটা ফল খাওয়া ভালো, কারণ এতে ফাইবার অটুট থাকে। মূল খাবারের (মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ) সঙ্গে ফল খাবেন না, কারণ মূল খাবারে ভাত ও রুটিজাতীয় শর্কর এমনিতেই থাকে। ফল স্ন্যাকস হিসেবে গ্রহণ করুন, যেমন মধ্য সকাল বা বিকালে। সচরাচর স্ন্যাকস বা নাশতা খান। শর্করার হিসাব রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেট কাউন্টিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। মানে মিষ্টি ফল খেলে সেদিন অন্য শর্করা কমিয়ে খাবেন।

হাসিনা আকতার

ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট

ল্যাবএইড লিমিটেড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০