ডায়াবেটিস প্রতিরোধী ধান চাষ অনুমোদন

প্রতিনিধি, গাজীপুর:উচ্চ ফলনশীল আরও দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় জাতগুলো অনুমোদন করা হয়। এতে এই দুই জাতের ধান এবার থেকে চাষ করা যাবে।

নতুন এ জাত দুটি হচ্ছে ব্রি ধান-১০৫ ও ব্রি ধান-১০৬। এর মধ্যে একটি বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন ও অন্যটি রোপা আউশ মৌসুমের অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের উপযোগী। নতুন এ দুই জাতসহ ব্রি উদ্ভাবিত সর্বমোট ধানের জাতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৩-তে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রি’র মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর জানান, নতুন উদ্ভাবিত

ব্রি-১০৫ হলো বোরো মৌসুমের একটি  কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন ডায়াবেটিক ধান।

এটির শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলো, সবুজ পাতা, খাড়া ডিগ পাতা, মাঝারি লম্বা ও চিকন দানা, যার জিআইয়ের মান ৫৫.০। কম জিআই হওয়ায় এটি ডায়াবেটিক চাল হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে বলে আশা করা যায়।

তিনি জানান, ব্রি ধান-১০৬ আউশ মৌসুমের অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের উপযোগী উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। পাতার রং গাঢ় সবুজ। এ জাতের গাছের গোড়ায় ও ধানের দানার মাথায় বেগুনি রং বিদ্যমান। এর গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৪ দশমিক ৭৯ টন যা অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান ২৭-এর চেয়ে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। নতুন জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি ঢলে পড়া প্রতিরোধী, ফলে গাছ হেলে পড়ে না। ধানের দানা মাঝারি মোটা এবং সোনালি বর্ণের। এ জাতের গড় জীবনকাল ১১৭ দিন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০