বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড়, বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালনে কায়িক পরিশ্রম ও পরিবেশগত কারণে পবিত্র হজ পালনের সময় নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কভিডের সংক্রমণ পুরোপুরি দূর হয়নি। তাই এ সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যা করতে হবে: হজে যাওয়ার কমপক্ষে ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিস টিকা ও ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন বা ওষুধ, নির্দেশিত ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ, হƒদ্?রোগ, হাঁপানি বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধ নিতে হবে।
কোনো অবস্থায়ই ইনসুলিন বা প্রয়োজনীয় ওষুধ বাদ দেয়া যাবে না।
হজে অনেক হাঁটাহাঁটি করতে হয় বলে ডায়াবেটিসের রোগীদের পায়ের যত্ন নেয়া জরুরি।
কিছু পরামর্শ: ইনসুলিন ব্যবহারকারীরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সহজে বহনযোগ্য ইনসুলিন পেন-ডিভাইস নিতে পারেন। ইনসুলিন বহনের জন্য জেল বক্স বা ছোট ফ্লাস্ক পাওয়া যায়। এটা নিতে পারেন।
খেজুর, হালকা স্ন্যাক্স-জাতীয় খাবার ও পানিস্বল্পতা এড়াতে পর্যাপ্ত পানি রাখুন। ঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চশমা ব্যবহার করলে অবশ্যই প্লাস্টিকের তৈরি অতিরিক্ত এক জোড়া চশমা সঙ্গে নেবেন।
হজে যাওয়ার আগে চোখ ও দাঁতের পরীক্ষা করাবেন।
অন্যান্য সতর্কতা: হাজিরা প্রায়ই গলাব্যথা, হাঁচি-সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভোগেন। এসব সমস্যার জন্য প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির সমস্যায় অ্যান্টাসিড, ওমিপ্রাজল, ফেমোটিডিন ও ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ খাবেন। ডায়রিয়া ও বমি হলে বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে শারীরিক অবসাদ কাটাতে ওরস্যালাইন খাবেন। গরমজনিত শারীরিক অসুস্থতা বা হিটস্ট্রোক ও সান বার্ন এড়াতে সাদা ছাতা বা মাথায় কাপড় ব্যবহার করুন। মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যথায় আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন-জাতীয় ওষুধ খাবেন।
ডা. এ হাসনাত
ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, ইমপালস হাসপাতাল, ঢাকা