নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। গৌরবময় সেবার ৪৪ বছর পেরিয়ে ৪৫ বছরে পদার্পণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘শান্তি শপথে বলীয়ান’ এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ডিএমপি জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ পুলিশের বৃহৎ ইউনিট ঢাকা মহানগর পুলিশ। ১৯৭৬ সাল থেকে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে কাজ করছে ডিএমপি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে, সৃজনশীলতা ও জন অংশীদারিত্বকে অন্যতম কার্যকৌশল হিসেবে গ্রহণ করে বহুমাত্রিক এ নগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনস রাজারবাগে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। নাগরিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি থাকবেন।
এ উপলক্ষে বেলা ৩টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হতে হবে এবং সেবাপ্রত্যাশীদের সর্বোত্তম আইনগত সহায়তা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
এ উপলক্ষে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সরকার ঢাকা মহানগর পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশকে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।