ডিএসইএক্স সূচক কি পাঁচ হাজার পয়েন্টে নামছে?

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারের পতন অব্যাহত রয়েছে। গতকালও সূচক, লেনদেন ও শেয়ারদর নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। দরপতন নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ মিছিলও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই বাজারকে ঠিক করতে পারছে না। একটি একটি করে মাইলফলক অতিক্রম করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছয় হাজার ১০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছিল। এখন সূচকের উল্টো গতিও ঠিক একইভাবে একের পর এক মাইলফলক পেরিয়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বাজারের এভাবে পতনের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ পাওয়া না যাওয়াতে বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, তাহলে কী বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে এ পতন ঘটিয়ে সূচককে পাঁচ হাজার পয়েন্টে নামানোর পর শেয়ার কেনা শুরু করবেন? তাদের আশঙ্কা সত্যি কি নাÑতা জানার জন্য সূচকের আরও ৪৮৮ পয়েন্ট পতন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
গতকাল সূচক পতনের গতি কমলেও লেনদেন ৩০০ থেকে ২০০ কোটির ঘরে নেমে আসে। আগের দিনের থেকে সামান্য ইতিবাচক ছিল বাজার। এদিন ৩৪ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। কমেছে ৪৭ শতাংশের। সবচেয়ে বেশি ২২ শতাংশ লেনদেন হয় ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা। তবে মাত্র ২৫ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। এ খাতের রেনাটা লেনদেনে নেতৃত্ব দেয়। কোম্পানিটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও দর কমেছে ১৪ টাকা ১০ পয়সা। এছাড়া স্কয়ার ফার্মার সাড়ে ১৪ কোটি, সালভো কেমিক্যাল সাড়ে পাঁচ কোটি, ফার্মা এইডের সাড়ে চার কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গ্রামীণফোনের সাত কোটি টাকার লেনদেন হলেও ছয় টাকা ৩০ পয়সা দর কমেছে। বিক্রির চাপের কারণে। সবগুলো কোম্পানি দরপতনে ছিল। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১৯ শতাংশ। এ খাতে ৫৩ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ আট ও ৯ নম্বরে অবস্থান করে। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা। সম্প্রতি ব্যাংকটি হংকংভিত্তিক ম্যাগাজিন এশিয়া মানি থেকে ‘বেস্ট ডমেস্টিক ব্যাংক’, ‘বেস্ট ডিজিটাল ব্যাংক’ ও ‘বেস্ট ব্যাংক ফর করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি’ এ তিনটি পুরস্কার লাভ করেছে। গতকাল এ সংবাদ প্রকাশিত হলে শেয়ারটির চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া মার্কেন্টইল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করে। প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ করে। প্রকৌশল খাতে ৪৭ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতে ৩৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের এনভয় টেক্সটাইল, স্টাইল ক্রাফট, সায়হাম টেক্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০-এ উঠে আসে। এছাড়া আর্থিক খাতের ফাস ফিন্যান্সের দর সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। বীমা খাতের সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে।