নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থাকলেও সূচকের পতন দেখা গেছে; একই সঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৬১ দশমিক ৭২ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৩ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৫৫ দশমিক ৮২ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দুই হাজার ১৩৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২০৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ৪১টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮১৪ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার টাকা টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে, যা শতাংশের হিসেবে ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ কোটি ২ লাখ টাকা। খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার ১০৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ২১টি শেয়ার ৯২ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে উঠে আসা সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৪৭ লাখ ৯ হাজার ৯০৮টি শেয়ার ৮৮ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে। ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৫১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৮টি শেয়ার ৭৬ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ কমেছে।