ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি প্রধান সূচকের পতন দেখা গেছে। একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহে ৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৭৭৮ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৩৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে এক হাজার ২৫৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৪৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে দুই হাজার ১১ দশমিক ০৯ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৪১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ৩৪৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৮টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ১ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৫টি শেয়ার মোট ৪৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা ১০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৩৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৭ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৫২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে জেড ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে সাত দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ২ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫ লাখ ৬ হাজার ৫৭২টি শেয়ার ১ হাজার ৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৭৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছিল এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৮ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮২টি শেয়ার ৭ হাজার ৩৮০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশই ছিল সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৭টি শেয়ার ৫ হাজার ৪৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০